ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক। এসময় তাকে জুতার মালা পড়িয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে আসলে তোপের মুখে পড়েন ছাত্রলীগের পদধারী এই নেতা।
আটককৃত নেতা আব্দুল আলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পক্ষে ছিলো সে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হলের সিট বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো সে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মানবিক সহায়তা গ্রহণ করলে সেখান থেকেও টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের বিরোধিতা, সিট বাণিজ্য, টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। পরীক্ষা দিতে আসলে সে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি তার নিরাপত্তার স্বার্থে সেফলি ইবি থানায় নিয়ে আসছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। তারপর যেনো মব জাস্টিস না হয় সেজন্য প্রক্টরিয়াল বডি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিরাপদে থানায় নিয়ে আসছি। এখানে তার বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা রয়েছে কি না, বা কোনো অভিযোগ রয়েছে কি না। এসব বিষয় দেখে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো মামলা হবে কি না জানতে চাইলে বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টারা এ বিষয়ে বসে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিবো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইবি থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে তোপের মুখে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। আমরা থানায় তাকে হেফাজতে রাখছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যেভাবে আগাতে বলবে আমরা সেভাবে পদক্ষেপ নিবো।