নিজস্ব প্রতিবেদক // ঝিনাইদহে পিকনিকে এসে বিরিয়ানী খেয়ে বাগেরহাটের শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক বলছেন হাসপাতালে ভর্তি ৪৫ জনেরই খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হবার কারণেই এমন হয়েছে।
জানা যায়, বাগেরহাট সদর শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠ স্কুল থেকে দুটি বাসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক মিলিয়ে প্রায় ১০৮ জন ঝিনাইদহ জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে পিকনিকে আসেন।
দুপুরে খাওয়ার জন্য পথিমধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ থেকে সেলিমের হোটেল থেকে চিকেন বিরিয়ানী নিয়ে আসে। এরপর পার্কে ঘোরাঘুরির পর দুপুর ২টার দিকে তারা খাবার খান।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অধিকাংশেরই বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ২০ জন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ মোট ৪৫ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিরা চিকিৎসা ছাড়াই কিছুটা সুস্থ হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, খাবার খাওয়ার পর সেই খাদ্যের বিষক্রিয়ায় তাদের এমন হয়। সকলেরই বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক কয়েকজনের অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোফিজ উদ্দিন বলেন, আমাদের এক সহকর্মী স্কুলের গাড়িতে বাচ্চাকে নিয়ে পিকনিকে আসেন। তারা দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য সাথে করে যে খাবার নিয়ে আসছিল। সেই খাবার খেয়েই তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি কয়েক ঘণ্টা দেশে থাকলে তারা স্বাভাবিক হয়ে, বাড়ি যেতে পারবে।
শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক ননী গোপাল আচার্য বলেন, খাবার খাওয়ার কিছু সময় পর থেকেই একে একে কেউ বমি করে, কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়, কারো পেটে ব্যাথা শুরু করে।
এভাবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন নানাভাবে অস্বুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের সবাইকে হাসপাতালে আনা হয়। এখন পর্যন্ত অনেকের অবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে। আশা করি সবাই সুস্থ হয়ে যাবে এবং সবাইকে নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারব।