বাংলার কন্ঠস্বর ডেস্ক।।
হঠাৎ বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার কিছু পরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি ও জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এনসিপির প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপি প্রতিনিধি দল এবং সোয়া ৮টায় জামায়ত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের সূচি রয়েছে।
রাত সাড়ে ৮টায় এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের সূচি থাকার তথ্য দেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব আহম্মদ ফয়েজ।
ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনে গত বছর ৫ অগাস্ট সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার তিন দিন পর ৮ অগাস্ট নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এর সাড়ে নয় মাস পর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও অভ্যুত্থানের নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভিন্ন অবস্থান এবং ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের ঘটনা ঘটে।
দুই পক্ষই কিছু উপদেষ্টার পাল্টাপাল্টি পদত্যাগের দাবি তোলে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন বলে খবর আসে।
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুঞ্জনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান নাহিদ; যিনি এনসিপির দায়িত্ব নিতে গত ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন।
নাহিদের পর সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।
দেখা করার পর নাহিদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ‘পদত্যাগের কথা ভাবছেন’।
বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দলের অবস্থান জানানো হয়।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওইদিন বৈঠক করে জামায়াতে ইসলামী। বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর দলটির আমির শফিকুর রহমান সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।