1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক যুবকের মার খেয়ে পড়ে থাকার ছবি, ঘটনা কী? - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন

ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক যুবকের মার খেয়ে পড়ে থাকার ছবি, ঘটনা কী?

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৩০ 0 বার সংবাদি দেখেছে
বিশেষ প্রতিবেদক: ভোলা লালমোহনের গজারিয়ায় পরেশ বাবু নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ডেকে নিয়ে কয়েকজন মিলে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় হারুন (৩২) নামক এক যুবককে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে‌ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, গজারিয়ার বেলু ব্যাপারীর ছেলে নুর হোসেন ও ঈমাম হোসেন পুরোনো ক্ষোভের জেরে ওই যুবককে পিটিয়েছে। তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন-ও ছিনিয়ে নিয়েছে।
কয়েকবছর পুরোনো ক্ষোভের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আমাদের অনুসন্ধানে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
হারুন বসবাস করে ঢাকার বনানীর গোডাউন বস্তিতে। সেখানে তাকে সবাই পুলিশের সোর্স ‘ফর্মা হারুন’ হিসেবে চিনে। তার বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া, ফিটিং বানিজ্য, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বাবার নাম ছাদেক মিস্ত্রী। এছাড়া বনানীতে হারুন আওয়ামী লীগের কর্মী। অভিযোগ আছে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিতেন। এসব কারণে হারুনের উপর অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে।
হারুনকে পিটানোর বিষয়ে গজারিয়ার বাসিন্দা বিল্লাল তপু বলেন, ঝামেলা তেমন কিছু না। ২ বছর আগে বনানীর গোডাউন বস্তিতে একটা মেয়েকে ফোন করাকে কেন্দ্র করে হারুন এক ব্যক্তিকে সেখানকার এক আওয়ামী লীগ অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। সেই অফিসে আওয়ামী লীগের নেতারা বিচারের নামে ওই ব্যক্তিকে জিম্মি করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে। পরে সেই টাকা হারুনসহ আওয়ামী লীগের নেতারা ভাগাভাগি করে নেয়। এখন ক্ষমতার পালাবদলে ২ বছর আগের ঘটনা নিয়ে আজকে তারে গ্রামের বাড়িতে পেয়ে ডেকে নিয়ে ৭ জন মিলে মারছে।
মোঃ জহিরুল নামক আরেকজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, বনানীর একটি আওয়ামী লীগের ক্লাবে নিয়ে হারুন আমার চাচাতো ভাইকে পিটিয়েছিল বিএনপির মিটিংয়ে গিয়েছিল বলে। সেদিন আমার চাচাতো ভাইকে অমানবিক নির্যাতন করেছিল। শুধু তাই নয় তার কাছ থেকে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় হারুনসহ কয়েকজন। ২০২২ সালে ঘটেছিল এই ঘটনা।
মোঃ শাহীন ফরাজি নামাক এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, আপনারা হারুনের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন! উনি একজন আওয়ামী পুলিশ ফর্মা ছিলেন। নিরীহ মানুষকে অযথা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। এবং বিভিন্ন সময় নানাভাবে অসহায় মানুষের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ক্লাবে নিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায় করেছে।
আরেকজন রিয়াজুল ইসলাম টিপু বলেন, যতটুকু জানি নমগ্রামের আবুর ছেলে শাহিনের স্ত্রীর সাথে একটা ঝামেলা ছিল। ওই সংক্রান্ত ব্যাপারে হয়তো হারুনকে পেটাতে পারে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ