নিজস্ব প্রতিবেদক // বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বটতলা মোড় থেকে চৌদ্দঘর পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা হওয়ায় ভোগান্তি তৈরি হয়েছে মানুষের। ২ কিলোমিটার সড়কের জন্য বেহাল দশায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শুভ সন্ধ্যা, ডিসি পয়েন্ট, ইকো পার্কে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের।
২ কিলোমিটার সড়কের জন্য কারণে পর্যটকদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্ট হয়েছে বড় বড় গর্তে। এ যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকছেন গাড়ির ড্রাইভাররা। শনিবার (২৯ জুন) উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের বটতলা মোরে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা সড়কের গর্তে পড়ে আমতলী-ঢাকাগামী বাস, আলফা, অটো গাড়ি। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ড্রাইভাররা এবং শুভ সন্ধ্যায় ঘুরতে আসা পর্যটকরাসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বটতলা মোরে অনেক অংশে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে গাড়ি, যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা। ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম লিটু জানান, আমার ১নং ওয়ার্ডের বটতলা মোরের কোথাও কোথাও সড়কের অর্ধেকাংশের বালু ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি জমা হয়। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, তিন বছরের অধিক সময় ধরে সড়কের সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের এই বেহাল দশায় পণ্যপরিবহনসহ যাতায়াতে দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কটিতে চলাচলকারী মোটরসাইকেল, রিকশা, ইজিবাইক, আলফা গাড়ির যন্ত্রাংশ। ফলে নষ্ট গাড়ি মেরামত করতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চালকদের।
পথচারীরা জানান, গত তিন বছর ধরে এই সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। অথচ তালতলী থানা, উপজেলা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যেতে হয়। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তাদের।
এ বিষয়ে বটতলা মোরে হোটেল ব্যবসায়ী মো. আবুল বাশার জানান, এটা মনে হয় সড়ক না এটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। গর্ত হয়েছে বৃষ্টি হলে পানি জমা হয়ে থাকে। চলাচলকারী গাড়ি এসব গর্তে পড়লে বড় ধরনের বিপদ ঘটবে। তার মতে এটি দ্রুত সংস্কার না করলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। প্রভাব পড়বে বিভিন্ন পর্যটন খাতে।
ড্রাইভার মো. রুবেল বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি। তালতলী উপজেলার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয়দের অনীহার বড় কারণ সড়কটির চরম দুরবস্থা।সড়কটির কারণে অনেকে শুভ সন্ধ্যায় আসতে চায় না। বছরের পর বছর ধরে ২ কিলোমিটার সড়কটি এভাবে পড়ে আছে। অথচ এর সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পর্যটন এলাকার স্বার্থে সড়কটি মেরামত করা জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, বটতলা মোরে অনেক অংশে বড় বড় গর্ত হয়েছে বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমা হয়। আমিও দেখেছি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। তবে আমতলী-তালতলী সড়কের কাজ চলছে। আশা করছি, দ্রুত ওই সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হবে।