এ সড়কে পাশে ঐতিজ্যবাহি বরগুনা দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা, মসজিদ, সরকারি খাদ্যগুদাম, সরকারি জেলা স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে। এমন কি কোমল মতি শিশুরা স্কুল মাদ্রাসায় যাতায়েত করে। ময়লা-আবর্জনার (বর্জ্যের) র্দূগন্ধে তাদের দম বন্ধ হয়ে আসে।
বরগুনা শহরের, সরকারি স্কুল- মাদ্রাসা ,মসজিদ ও খাদ্য গুদাম এলাকায় এ মাদ্রাসা সড়কে অরক্ষিত স্থানে এভাবে ময়লা-আর্বজনা ফেলে রাখায় একদিকে যেমন পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। র্দূগন্ধে পথচারীদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হওয়ায় বাতাসে ব্যাপক র্দূগন্ধ ছড়াচ্ছে । বাতাসে র্দূগন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় অফিসে বসে কাজ করা, স্কুল-মাদ্রাসায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এমনকি আবাসিক বাড়ির বাসিন্দাদের বসবাস করতে কষ্ট হচ্ছে। এ মাদ্রাসা সড়ক মশা-মাছির অভায়রণ্য। বাসা-বাড়ি ও ড্রেনের বর্জ্য পশু-পাখির খাবারে পরিণত হয়েছে। যার কারণে এ এলাকায় জনস্বাস্থ্য আজ হুমকির মুখে। পশু-পাখি এ ময়লার অরক্ষিত ভাগারের খাদ্য-গ্রহণ করে। এ সব পশু-পাখি মানুষের সংস্পর্সে এসে মারাক্ত রোগ-জীবানু ছড়াতে পারে। রাস্তার ওপর খোলা জায়গায় ময়লা (বর্জ্য) রেখে নোংরা করায় পরিবেশ মারাত্বক দূষণ করা হচ্ছে।
অরক্ষিত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় সুন্দর রাস্তাটি মূহূর্তে র্দূগন্ধে ছড়িয়ে যায়। পুরো এলাকার পরিবেশ দূষণের ফলে র্দূগন্ধে ঘ্রাণ ইন্ধিয় ত্রাহি ত্রাহি করে ওঠে।
বরগুনা খাদ্যগুদামের খাদ্য-পরিদর্শক মো.আকরাম হোসেন মুঠোফোনে বলেন ময়লা-আবর্জনা খাদ্য গুদামের কাছে রাস্তায় ফেলায় দুন্ধ ছড়ায় , অফিসে বসে কাজ করতে কষ্ট হয়। তিনি আরও বলেন আমার অফিস থেকে এখানে খোলা জায়গায় যাতে ময়লা ফেলা না হয় । এ বিষয়ে পৌরসভায় মৌখিক অভিযোগ করেছে ।
এ বিষয়ে বরগুনা পৌরসভার পৌর-নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ এর কাছে খোলা রাস্তায় অরক্ষিত স্থানে ময়লা (বর্জ্য) ফেলার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, ওখানে আগে ডাস্টবিন ছিল ভেঙ্গে ফেলেছে। পরিবেশের ক্ষতির কথা স্বীকার করে এ কর্মকর্তা বলেন, মেয়র সাহেবের সাথে আলাপ করে শ্রীগ্রই ডাস্টবিন নির্মাণ করা হবে।
বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেনে বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা (বর্জ্য) ফেলার কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে থাকে, এখানে মশা-মাছি বসে, বাতাসের মাধ্যমে মানবদেহে জীবানুর মাধ্যমে যে কোন রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
Leave a Reply