নিজস্ব প্রতিবেদক // যৌতুক না দেওয়ায় বরিশালে গৃহবধূ মোর্শেদা আক্তার সাথীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর সদর রোডে রোববার বেলা ১১টায় জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় জড়িত ননদ লুনা ও ননদের ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেফতার দাবি করেন সাথীর ভাই নজরুল ইসলামসহ বক্তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন খোকন, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন বরিশালের সাধারণ সম্পাদক এলবার্ট রিপন বল্লভ, জেলা বাসদের সদস্য দুলাল মল্লিক ও মানিক হাওলাদার, জেলা সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সহ-সভাপতি মাফিয়া বেগম, সদস্য শানু বেগম, ছাত্রফ্রন্টের বিএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পদক বিজন সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১১ সালে সাথী রানাকে বিয়ের পর জানতে পারে তার আগের একটি বিয়ে রয়েছে ও তিনি মাদক ব্যবসায়ী। তারপরও সংসার টিকিয়ে রাখতে তিনি সব কিছু সহ্য করেছিলেন। এরই মধ্যে স্বামী রানা মাদক মামলা থেকে মুক্তি পেতে এক লাখ টাকা ও ব্যবসার জন্য আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আগস্ট মাস থেকে সাথীকে নির্যাতন শুরু করে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন।
এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দিনগত রাতে ননদ লুনা ও ননদের ছেলেসহ তিনজন কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সাথীর শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে যায়। সাথীর শরীরের আগুন দেওয়ার পর শ্বশুর বাড়ি লোকজন তাকে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাত দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মারা যান তিনি।
সাথীর দায়ের করা মামলায় রানা গ্রেফতার হলে আজ তাকে মারা যেতে হতো না বলে দাবি করেন বক্তারা। উল্লেখ্য, শরীরে আগুন দেওয়ার পর সাথীর ভাই নজরুল ইসলাম একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন।
Leave a Reply