নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশাল মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলে স্বামীকে নিয়ে রাত্রিযাপনের অন্তরঙ্গ দৃশ্য ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে গৃহবধূকে পালাক্রমে গণধর্ষনের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৫ আসামীকে জেল হাজতে পাঠান হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, উজিরপুরের মার্দাশী গ্রামের বাচ্চু হাওলাদারের ছেলে শাহিন হাওলাদার (২৫), একই গ্রামের মৃত জাহান উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে শাহ আলম (২৫), দুলাল হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার (২২) এবং উপজেলার মুন্ডুপাশা গ্রামের হানিফ চাপরাশীর ছেলে মিঠু চাপরাশী (২৬) ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের ছেলে জাহিদ হাওলাদার (৩৭)।
বরিশাল বিমান বন্দর থানার ওসি ইন্সপেক্টর জাঁকির শিকদার সাংবাদিকদের জানান, গৃহবধূর স্বামী বরিশাল নগরীতে ব্যবসার সুবাদে নগরীর গির্জা মহল্লা রোডের আবাসিক হোটেল ‘আকাশমণি’তে স্বামীর সাথে থাকতেন। বর্তমানে নগরীর গড়িয়ার পাড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামীর সাথে বাস করছেন।
গত শনিবার বিকেলে নগরীর সদর রোড বিবি পুকুরের পাড় এলাকায় আসেন ওই গৃহবধূ। তখন তাকে দেখতে পেয়ে হোটেলের বয় জাহিদ এসে কথা বলে জানায়, শাহিন নামের এক ব্যক্তির কাছে তার স্বামীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও রয়েছে।
ওই ভিডিও মুছে ফেলার আশ্বাস দিয়ে জানায় মোবাইল ফোন তার এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছে। এরপরে বাবুগঞ্জের রহমত-পুর ব্রিজ এলাকার রহমত ভিলা নামে কথিত আত্মীয়ের বাসায় গৃহবধূকে নিয়ে যায়। সেখানে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে শাহিন ও শাহে আলম। তখন গৃহবধূ ডাক চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দেয়।
ওসি জানান, গৃহবধূ গভীর রাতে স্বামীকে নিয়ে এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে রোববার ভোররাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজন ছাড়াও আবাসিক হোটেল থেকে বয় জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ষিতা গৃহবধূকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা পুলিশের কাছে ধর্ষণ সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। আদালত গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জেলে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে ।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমাদানের নিদেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। উপ-পুলিশ কমিশনার-উত্তর রুনা লায়লা মামলাটির তদন্তে তত্বাবধান করছেন।