নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশালের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। এতে বিপাকে ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে কমে আসবে দাম।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাঁক-ডাক আর ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।
গত ২ নভেম্বর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বাজারে নেই নদী ও সাগরের মাছ। যাও আছে; দাম চড়া। দেখা নেই ইলিশেরও। তাই বাজার সয়লাব চাষের রুই-পাঙাশে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে চাষের মাছেও কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১ হাজার ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ২০০ টাকা, চাষের কৈ ১৬০-২০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, গ্রাসকার্প ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ টাকা।
এছাড়া কোরাল ৬০০ টাকা, নদীর পাঙাশ ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা, ইলিশ (এক কেজি ওজন) ২ হাজার টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। রফিক নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে তো এমনিতেই মাছ নেই তার ওপর দামের এমন অবস্থা। চাষের মাছের যদি দাম বেশি হয় তাহলে মানুষ কি খাবে।
জব্বার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। চাষের মাছের দাম চড়া। বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানাই।’ সজিব নামে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘নদীতে মাছ নেই। তাই চাষের মাছে ভরপুর বাজার। খাবারের যে পরিমাণ দাম বাড়ছে, তাতে চাষের মাছের দাম তো বেশি হবেই। কম দামে পেলে তো কম দামে বিক্রি করতাম।’
পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আড়তদার সমিতির সাবেক অর্থ সম্পাদক ইয়ার হোসেন শিকদার বলেন, ‘শীত শুরু হওয়ায় নদী ও সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা মিলছে না।
সরবরাহ বাড়ালে দামও কমে যাবে বলে আশা করছি।’ পোর্টরোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১৭০টি আড়তে আগে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ বিক্রি হলেও বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।