স্টাফ রিপোর্টার // কথিত বিএনপি নেতাকে ক্রিয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ও স্কুল কমিটির সভাপতি না করায় প্রধাধ শিক্ষককে অপহরণ চেষ্টা ও প্রকাশ্যে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কথিত বিএনপি নেতা মাসুদ হাওলাদারকে স্কুলের ম্যানেজিং কমেটির সভাপতি না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন বলে কথিত সেই বিএনপি নেতা বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা অভিযোগে জানিয়েছেন, মাসুদ হাওলাদার দীর্ঘদিন আত্নগোপনে ছিলেন সে কোন বিএনপির রাজনীতির সাথে ছিলেন না।নিষ্ক্রিয় থেকে দলের দূর্দিনে আ’লীগের সাথে আপোষ করে চলেছে। এখন পেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেকে বড় নেতা দাবি করে নানান অপকর্ম চালাচ্ছে যা বিএনপির জন্য ভয়াবহ হয়ে দাড়িয়েছে। এখন যদি তাকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারে তাহলে দলের জন্য খুব খারাপ অবস্থা হয়ে দাঁড়াবে এবং দলের নামে সাধারণ মানুষের কাছে দূর্নামের কারন হবে। তারা অভিযোগে আরও জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশে সকল বিদ্যালয়ের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কমিটি গঠন করে অনুমোদন দেন। তাতে সভাপতি পদের জন্য আবেদন করেন কথিত বিএনপি নেতা মাসুদ হাওলাদার। তাতে বাধ সাধে কাজলাকাঠী হাফেজ তালুকদার মধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল প্রতিষ্ঠাতা। প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম সভাপতির নাম প্রস্তাব করেন এ্যড.নজরুল ইসলাম খান রাজনের। তারপর এ্যাড.নজরুল ইসলাম খান রাজন সভাপতি হলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা মাসুদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিয়া পন্ড করার পাঁয়তারা চালায়। তবে এ্যাড.নজরুল ইসলাম খান রাজনের উপস্থিতিতে তার সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করে সুন্দর স্বাভাবিক ভাবে শেষ হয় বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান। এদিকে অভিযোগকারীরা আরও জানান, ক্ষিপ্ত হয়ে কথিত বিএনপি নেতা মাসুদ তার সাঙ্গপাঙ্গ পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষকে অপহরনের চেষ্টা চালায়। স্থানীয়দের বাধায় তাতে ব্যর্থ হয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। অভিযোগ উঠেছে, পহেলা মার্চ সকালে প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালের টুমচর নামক স্থানে মাসুদ হাওলাদারের মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সদস্য অঞ্জন দাস ফয়সাল খান ও হুন্ডা জুয়েল সহ একাধিক কথিত যুবলীগ নেতা নামধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অপহরনের চেষ্টা চালায়। স্থানীয়দের বাঁধায় অপহরনে ব্যর্থ হলে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে এলাকা ছাড়া করার প্রকাশ্য হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। যারা হামলা চালিয়েছে তারা স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী বলে পরিচিতও বলে জানান তারা। অভিযোগকারীরা বলেন, মাসুদ হাওলাদারকে প্রধান অতিথী না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাজলাকাঠী হাফেজ তালুকদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নজরুল ইসলাম (বাবলু) চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঢুকে ঘরে দরজা জানালায় লাথি মারে ও অশালীন মন্তব্য করে। কাজলাকাঠী হাফেজ তালুকদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্কুলের ভালোর জন্য এ্যাড.নজরুল ইসলাম খান রাজনকে স্কুলের সভাপতি ও তাকে বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি করি। আর মাসুদ হাওলাদারকে সভাপতি ও বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি না করার ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা চালিয়েছে। যা ন্যাক্কার জনক। এরপর আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা করেছে। আমাদের উদ্দেশ্যে করে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই আর দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, মাসুদ হাওলাদারকে স্কুল কমিটির সভাপতি ও বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি না করায় সে তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে আমাকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়দের বাঁধার মুখে অপহরণ করতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি এ্যড.নজরুল ইসলাম খান রাজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরিশাল জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন খান জানান, আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি অবগত হলাম। খোঁজ খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।