নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশালে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন দুই শতাধিক রোগী। তবে হাসপাতাল গুলোতেও দেখা দিচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতা। সিটি করপোরেশন বলছে, মশক নিধনে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। আর ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও সুযোগ সুবিধা আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ
একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় নগরীজুড়ে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত বংশ বিস্তার করছে এডিস মশা। ফলে হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
নগরবাসী জানান, দেশে নানা ডামাডোলের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপের বিষয়টি অনেকটা আড়ালে পড়ে গেছে। প্রতিনিয়ত মশার উপদ্রব বাড়ায় চিন্তিত তারা। সিটি করপোরেশন থেকে যে মশার ওষুধ দেয়া হয় তা নিয়ে আছে নানা অভিযোগ।
সিটি করপোরেশন বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এনেক্স ভবনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ক্ষতি হয় মশক নিধন সরঞ্জামের। ফলে মশক নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে শিগগিরই এর সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পল্লবী বলেন, ‘এনেক্স ভবনে আগুন দেয়ার আগে ১০টি ফগার মেশিন ও ৪৫টি হ্যান্ড স্প্রে থাকলেও বর্তমানে ৯টি ফগার মেশিন ও ২০টি হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে ৫৫ জন কর্মচারী ৩০টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে ৩০টি ফগার মেশিন ও ৯০টি হ্যান্ড স্প্রের চাহিদা দিয়ে একটি টেন্ডার দেয়া হয়েছে।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, অন্য রোগীদের সঙ্গেই চিকিৎসা চলছে ডেঙ্গু রোগীর। ব্যবস্থা নেই পর্যাপ্ত মশারীর।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, ৫০০ শয্যার হাসপাতালে ৩ হাজার রোগীর সেবা দেয়ার পর ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে বিপাকে তারা। আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগ ঢাকা থেকে আগত। নানান প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বিভাগের ৬টি জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি ৪১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তারা। এডিস মশার বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় ২০০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর, গত ৯ মাসে এ রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ হাজার ৩৭ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।