নিজস্ব প্রতিবেদক // কোন প্রকার টেন্ডার কোটেশন ছাড়াই রাস্তার লাখ লাখ টাকার গাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে।অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ কিছু যানে না জেনে রয়েছে নিরব,নির্বিকার। যেন সরকারি মাল দরিয়ামে ঢাল অবস্থা।
গত কয়েকদিন ধরে প্রায় ৫ লক্ষধিক টাকার মূল্যবান আকাশমনি, চাম্বল,পলাশসহ রাস্তার ধারের গাছ কেটে নিয়ে গেছে ওয়ার্ড আ’লীগ শ্রমিকলীগ সভাপতি আব্দুর রহিম নামে স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শিল্পীর স্বামী। এই দৃশ্য দেখা গেছে বরিশাল সদর উপজেলার ৭নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের তালুকদার হাট থেকে রানীরহাট রাস্তার মুক্তিযোদ্ধার পুল এলাকায় রাস্তার পাশে থাকা সরকারী সব গাছ কেটে নিচ্ছে।তবে আব্দুর রহিম ৭নং চরকাউয়া ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতি। সরজমিনে দেখা যায় তালুকদারহাট থেকে রানীরহাট রাস্তার পাকা রাস্তার পাশে থাকা প্রায় দুই যুগের আগের বহু মূল্যবান গাছ কাটা হচ্ছে।
সেখানে থাকা স্থানীয়রা জানান রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছ আব্দুর রহিম,শহীদ,পাভেল,মাছুম মিলে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।তারা জানান রাস্তার সংস্কার কাজ করা হবে তাই কাটা হচ্ছে।তবে কার অনুমতি নিয়ে কাটা হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন রাস্তা বড় করাহবে তাই কাটা হচ্ছে।স্থানীয়রা আরোও জানান এর আগে রাস্তার পাশে থাকা পাঁচ লক্ষাধিক টাকার গাছ রহিম আরোও একবার কেটে নিয়ে গেছে।তবে গাছ কাটার সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শিল্পীর স্বামী আব্দুর রহিম বলেন আপনারা পাভেলের সাথে যোগাযোগ করেন।আমি পাভেলের কাছ থেকে গাছ ক্রয় করেছি।তবে স্থানীয়ের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে আব্দুর রহিম কেন তারা নাম বলছে। তবে ঠিকাদার কালু জানান আমি সরকারি গাছ কাউকে কাটতে বলেনি।তবে রাস্তার পাশে থাকা স্থাপনা সবাইকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।গাছ কাটতে বলা হয়নি। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল এলজিইডি সদর উপজেলার প্রকৌশলী সৈয়দ মাইনুল ইসলাম জানান গাছ কাটার বিষয়ে আমি জানি না।তবে সরকারি গাছ কাটার কোন বৈধতা নেই।যদি কেউ গাছ কাটে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃমাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলে আমি ঘটনা স্থানে লোক পাঠীয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।