আজ শুক্রবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সুইস ব্যাংকের কাছে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তার আগে তথ্য চাওয়া হয়নি বলে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত নাটালি চুয়ার্ড যে দাবি করেছিলেন তাকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছিলেন ড. মোমেন।
সুইস ব্যাংকের কাছে নতুন করে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চাওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হলে তারা তথ্য দিতে চায় না। এটা তাদের মজ্জাগত সমস্যা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুইস ব্যাংকের কাছে অতীতে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে চিঠি দিয়ে তাদের অর্থের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সে সময় তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিল। আরও কয়েক বার তথ্য চাওয়া হলেও তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তথ্য চাওয়া হয়নি।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply