বাউফল প্রতিনিধি // পটুয়াখালীর বাউফলে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে পারাপারে কয়েক’শ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ব্যাহত হচ্ছে। গতিহীন হয়ে পরেছে দুই তীরের মানুষের স্বাভাকি যাতায়াত। চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুজাহিদ মুন্সি ও স্থানীয়দের সহায়তায় ব্রিজটির সাময়িক মেরামত করা হয়। জানাগেছে, ১৯৮৬সালে পূর্ব যৌতা সরকারী প্রাথমি বিদ্যালয়ের সামনে খালের উপর একটি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। র্দীর্ঘ বছরের কয়েক বার সংষ্কার করা হয়। বর্তমানে ওই ব্রিজটির আয়রন মরিচা ধরে প্রায় ভঙ্গুর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছেন যৌতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতকারী দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। খালের দুই তীরে একটি প্রাথমিক ও অপর তীরে মাদ্রাসা থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারপার হচ্ছে কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ পাঁচ হাজারেরও বেশি সাধারণ জনগন। প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি স্থানীরা ব্রিজটি নির্মাণে উপজেলা ছাত্রদলের কাছে সাহায্য চান। ছাত্রদল স্থানীয়দের সহায়তায় অস্থায়ী ভাবে কাঠের পাটাতন দিয়ে ব্রিজটি সাময়িকভাবে সংস্কার করেন। শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি করে বলেন, সাময়ীক নয় স্থায়ীভাবে একটি আরসিসি ব্রিজের নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হোক। একই সাথে দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫হাজার মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্রিজটি নির্মাণ অত্যান্ত জরুরী। স্থায়ী সমাধান চেয়ে যৌতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনেওয়াজ বেগম বলেন, সরকার ঘোষিত মানসম্মত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শতভাগ নিশ্চিত করতে উপস্থিতি নিশ্চি করতে হবে। কিন্তু বিদ্যালয়ের সামনে ব্রিজটি ভাঙা থাকার কারণে উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানান তিনি। এবিষয়ে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গায়েন অশ্বস্থ করে বলেন, ‘বিষটি আমার জানা ছিল না। এইমূহুর্তে আমাদের হাতে কোন প্রজেক্ট নেই। পরবর্তী প্রজেক্টে ওই ব্রিজটির নাম অর্ন্তভূক্ত করা হবে।