পটুয়াখালীর বাউফলে অসামাজিক কার্যালাপ করার অভিযোগে নারীসহ এক যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই যুবলীগ নেতার নাম মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মোল্লা (৪৮)। তিনি উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি।
ওই নারীও একই ইউনিয়ন মহিলা লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১০টা দিকে উপজেলার কালাইয়া কলেজ রোড এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। পুলিশের সামনেই তাকে মারধর করা হয়। তবে নারী নিয়ে অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগ অস্বীকার করে সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন যুবলীগ নেতা মিজান।
আরও ওই নারী বলছেন,‘ তাকে জোর করে ওই বাসায় ঢুকানো হয়েছে।’ স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাত ৯টার দিকে যুবলীগ নেতা মিজান এক হিন্দু নারী নিয়ে কলেজে রোডের এক আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় অসামাজিক কার্যকালাপ করছেন বলে খবর জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা সহ সাধারন মানুষ নারীসহ যুবলীগ নেতা মিজানকে ওই বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ নারীসহ যুবলীগ নেতা মিজান ও বাসার মালিক মোসা রেখা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. রাসেল নামে এক যুবদল নেতা জানান, যুবলীগ নেতা এক নারী নিয়ে এ বাসায় অসামাজিক কাজ করছিলেন। এমন সংবাদ পেয়ে আমি বাসায় গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরি।
পরে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। তবে অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগ অস্বীকার করে কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মিজান মোল্লা বলেন,‘ তিনি কলেজের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন কিশোর তাকে মারধর শুরু করেন।
আত্মরক্ষার জন্য তিনি ওই বাসায় গিয়ে প্রবেশ করেন। এগুলো সব জানানো নাটক বলে দাবি করেন তিনি। ওই নারীও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাকে জোর করে ওই বাসায় ঢুকানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামাল হোসেন বলেন,‘অসামাজিক কার্যকালাপে জড়িত থাকার অভিযোগ তাকে ( যুবলীগ নেতা মিজান) স্থানীয়রা আটক করেছেন।
খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।