এই সমস্যা থেকে বাঁচতে পটুয়াখালী সদর থানার সামনে এক চায়ের দোকানের মালিক সুব্রত চন্দ্র দাস নিয়েছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ। তার দোকানে প্রতিদিনই কিছু ক্রেতা আসতেন, যারা নিয়মিত বাকিতে চা-নাস্তা খেয়ে টাকা পরিশোধ করতেন না। এতে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি দোকানের ভেতরে ঝুলিয়ে দিলেন একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্টার।এই পোস্টার দেখেই অনেক ক্রেতা লজ্জায় আর বাকি চাইতে সাহস করেন না।
সুব্রত চন্দ্র দাস জানান,আগে প্রতিদিন অনেকেই এসে বাকি চাইতো। টাকা চাইলে নানা আজুহাত দেখাত।এখন পোস্টার দেখানোর পর বেশিরভাগ মানুষই আর বাকি চায় না। এবং এখন আর সেই অতিথি পাখি যারা বাকি খাইয়া দিতো মাসের পর মাস ফাকি তাদের আনাগোনা অনেকটাক কমছে।
সুব্রতর এই অভিনব উদ্যোগ ইতোমধ্যেই আশপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই তার দোকানে এসে পোস্টারের ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন, যেন নিজের দোকানেও এমন নিয়ম চালু করতে পারেন।
ব্যবসায়ীদের মতে, সব দোকানদার যদি একটু কৌশলী হন, তাহলে বাকিখোরদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সুব্রত চন্দ্র দাসের এই উদ্যোগ প্রমাণ করেছে, শুধু কৌশল ও বুদ্ধি খাটালেই ব্যবসায়ীরা সহজেই প্রতারণার ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন।