স্টাফ রিপোর্টার // বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন রঘুনাথপুর গ্রামে জোড়জবরদস্তি ব্যবহৃত খাল বন্ধ করে মাছ চাষ করাতে বাঁধা দেয়ায় সাইফুলকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রভাবশালী আওয়ামী দোষর ও জলদস্যু লিখন কাজী গং। সোমবার (৩০ জুন) রাত আনুমানিক ১০:২০ এর সময় চৈতা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৩) তিনি হলেন রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আকন-এর ছেলে। আহত মোঃ সাইফুল ইসলাম বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত সাইফুল জানান বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মোঃ নজরুল কাজী ওরফে লিখন কাজী ও জাকির কাজী স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় প্রভাব খাটিয়ে নৌযান ও পানি চলাচলের রেকর্ডীয় খালে ১০/১২ টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার শত শত কৃষক ও স্থানীয় জনসাধারণ। উক্ত বাঁধ দেওয়ার ফলে ০৯ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে জোয়ার ভাটার পানি বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে আছে। এতে করে ঘাঁস লতাপাতা পঁচে দুর্গন্ধ ও পানি বাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয়রা আরো জানান, গত ০৫ ই আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ১৩ নং পাদ্রি শিবপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দোসরদের দাপট সচ্ছল রয়েছে, তারা এলাকার নিরীহ কৃষকদের উপর পেশী শক্তি ব্যবহার করে যাচ্ছে। পলাতক শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময় সংখ্যালঘুদের শত ভাগ সুবিধা দিয়ে থাকতেন। তারই ধারাবাহিকতায় বরিশাল মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ও সমীর কুমার বসাক অনিয়মকে নিয়মের আওতায় এনে শত শত কৃষকদের দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন। কৃষকরা ধান চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছে। উক্ত খালের বাঁধ খুলে দেওয়ার দাবিতে স্থানীয় কৃষকরা ও এলাকার জনসাধারণ মানববন্ধন করেন। এছাড়াও গণস্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাকেরগঞ্জের কার্যালয় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়ে বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক সমীর কুমার বসাকের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান আমি বাকেরগঞ্জ কখনো যাইনি এবং উক্ত বিষয়টির ব্যাপারে আমার জানা নাই তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। এ নিয়ে সাইফুল কথা বলতে গেলে মুঠোফোনে তাকে ডেকে নিয়ে কয়েকবার হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে ডেকে বিকাল ৪টায় বৈঠকের আয়োজন করে ওই বৈঠক চলাকালীন সময় মোঃ জাকির কাজী বাড়িতে অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে তার আপন ভাই লিখন কাজী হসপিটাল নিয়ে যাওয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিন্তু তার মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলে হত্যার দায় মোঃ সাইফুল ইসলামের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়। এর কিছুক্ষন পরে চৈতা বাজারে সাইফুলকে একা পেয়ে জসিম কাজী, লিখন কাজী, দুলাল কাজী, ফিরোজ কাজী সহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত সূত্রে জানাজায়।