1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
বাগেরহাটে বাঁশের দখলে মহাসড়ক, দুর্ঘটনার আশঙ্কা! - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

বাগেরহাটে বাঁশের দখলে মহাসড়ক, দুর্ঘটনার আশঙ্কা!

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৪১ 0 বার সংবাদি দেখেছে

এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির // বাগেরহাটের চিতলমারীতে আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন রাস্তার দুই পাশে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে রেখে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাঁশ বিক্রি করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর অপরিকল্পিত ভাবে ভ্যান, নসিমন ও ট্রাকে বাঁশ লোড-আনলোড করায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এলোমেলো ভাবে বাঁশ রাখার কারণে অনেক সময় সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পথচারিদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টি থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে সবজি মৌসুমের শুরুতে উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ব্রহ্মগাতী, দুর্গাপুর এবং সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়িউমাজুড়সহ বিভিন্ন রাস্তার দুই পাশে রেখে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বাঁশ কেনাবেচা চলছে। রাস্তার উপর দিয়ে অনবরত ভ্যান-নসিমনে বাঁশ লোড-আনলোড করা হচ্ছে। এতে যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া চিতলমারী-খাসেরহাট সড়কে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে বাঁশ রাখার কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘিœত হচ্ছে।

প্রভাষক সুভাষ চন্দ্র মজুমদার জানান, তিনি চিতলমারী হতে ২২ কিলোমিটার পেরিয়ে বাগেরহাটে একটি কলেজিয়েট স্কুলে গিয়ে নিজ দায়িত্ব পালন করেন। বেশির ভাগ সময় তাঁর এই বাঁশের কারণে যাতায়াতে সমস্যা হয়। তারমত একই সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন।

দুর্গাপুর গ্রামের কামাল বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি তিনি চিতলমারী বাজার থেকে মোটরসাইকেলে চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ বাঁশের ট্রাক হতে একটা বাঁশ তার গাড়ির সামনে রাস্তার উপর এসে পড়ে এবং একই সময় আরেকটি বাঁশের সরু অংশ তার মাথার উপর দিয়ে দ্রুত ছুটে যায়। তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয় থানার ওসিকে জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মহাসড়কের উপর বাঁশ বাণিজ্য না করে নির্দিষ্ট কোন বড় মাঠে বাঁশের হাট করা উচিত। এই বাঁশের কারণে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পথচারিদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

ব্রহ্মগাতী গ্রামের বাঁশের আড়তদার মোঃ ইলিয়াস হোসেন জানান, তারা ভাঙ্গা, ফরিদপুর ও বরিশাল এলাকা থেকে বাঁশ এনে চিতলমারীতে বিক্রি করেন। তার আড়তসহ দুর্গাপুর ও ব্রহ্মগাতীর বাঁশের আড়তে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বাঁশ বিক্রি হয়। বাঁশের জন্য সড়কের একটু সমস্যা হচ্ছে। এর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তাদের এই ব্যবসার জন্য কোন লাইসেন্স নেই। তবে অচিরেই ট্রেডলাইসেন্স করিয়ে নেবেন।

এ ব্যাপারে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ জাহিদুর রহমান জানান, বাঁশ ব্যবসায়ীরা রাস্তার পাশের জমির মালিকদের কাছ থেকে যে টাকা দিয়ে জায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন, সব ব্যবসায়ীরা মিলে সেই টাকা দিয়ে একসাথে একটা বড় মাঠের মধ্যে এই ব্যবসা করতে পারেন। সেখান থেকে ক্রেতারা বাঁশ কিনে ভালোভাবে কেটে তারপর যানবাহনে করে বাড়ি নিলে যানজট কম হবে এবং জীবনের ঝুঁকি কমবে।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস পাল জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ