আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে।
এছাড়া আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, ডাল, ডিম ও মাছ-মাংস।
বছরের এই সময় আলু সাধারণত সস্তা থাকে। সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের মে মাসের এ সময়ের বাজারদরের তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলুর কেজি সর্বনিম্ন ২২ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকার মধ্যে ছিল। এবার সেই আলুর দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১২০ টাকা। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও মান ও জাতভেদে পটল ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
স্থান ও মানভেদে কাঁচামরিচ ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ১০০-১২০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, শসা ৫০-৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা হালি।
বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা এবং আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানেও ৫৫ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে।
সবজির বাজার ছাড়াও বাড়তি উত্তাপ দেখা গেছে সব ধরনের মাছ-মুরগিতেও। অন্যান্য পণ্যও চড়াদামে আটকে রয়েছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষের সংকট বাড়িয়েছে। যদিও গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকারের কথা বলেছিল। নতুন মন্ত্রিসভা আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আশাবাদের কথা শুনিয়েছিল। তবে চিত্র এখন যা, সব মিলিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুখবর নেই।