বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধি // সম্প্রতি একটি বেনামি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘গির-গিটির মতো রং পাল্টাচ্ছেন আওয়ামী-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা’ শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ হয়ে। এতে বনানী থানা বিএনপির এক নেতা আনিসুর রহমানকে যুবলীগ নেতা দাবি করে মিথ্যাচার করা হয়। অসত্য মিথ্যা ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিউজটিতে আনিসুর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
নিউজে আনিসুর রহমানকে বনানী থানা যুবলীগ নেতা দাবি করার পর বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে আনিস বিএনপির একজন নিষ্ঠাবান ত্যাগী নেতা। বিএনপির সব আন্দোলনে রাজপথে সরব ছিলেন। বিএনপি করার কারণে অসংখ্যবার মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। এরকম ভুয়া নিউজে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
নিউজে বনানী থানা যুবলীগ নেতা ইউসুফ সরদার সোহেলের সঙ্গে আনিসুর রহমানের একটি পুরনো ছবি ব্যবহার করা হয়। যেটি আসলে এলাকাভিত্তিক একটি পিকনিকের ছবি। যেখানে কোন আওয়ামী লীগ বিএনপি নয় মহাখালীর প্রায় অধিকাংশ যুবসমাজ গিয়েছিল। এবং প্রতিবছর যায়।
উল্লেখ করা হয়, আনিস চাঁদাবাজি করেছেন এবং যুবলীগের বিভিন্ন সমাবেশে সরব উপস্থিতি ছিল তার। কিন্তু এলাকায় অনুসন্ধান করে জানা যায়, আনিস সবসময় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন বলেই এখন চাঁদাবাজরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া শত জুলুম নির্যাতন সহ্য করে আনিস বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ বা যুবলীগের কোনো কর্মসূচিতে তাকে কেউ উপস্থিত হতে দেখেনি।
দাবি করা হয়, ‘সদ্যসমাপ্ত ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আনিস হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী আহত হয়।’ বাস্তবে এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ মনগড়া তথ্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া এলাকাবাসী জানায়, আনিস এমন ছেলেই না। বরং তিনি সবসময় সামাজিক ভাবে সবসময় বিভিন্ন যুব উন্নয়নমূলক কাজ করে গেছেন এবং যুবকদের ভালো উপদেশ দিয়ে থাকেন।
উল্লেখ করা হয়, আনিস রহমানের বাবা আজিজ রহমান ছিলেন ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর নাসিরের সহযোগী। কিন্তু এই তথ্যের বিন্দুমাত্র সত্যতা পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আজিজ রহমান কখনো নাসিরের সহযোগী তো দূরের কথা কেউ কোনদিন তাকে কাউন্সিলর অফিসে সময় দিতেও দেখেনি। আজিজ রহমান একজন ক্লিন ইমেজের লোক। মহাখালী ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় তার বেশ নামডাক ও সুনাম রয়েছে।
আনিসুর রহমানকে যুবলীগ নেতা দাবি করাকে হাস্যকর কাজ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বনানী থানা বিএনপি নেতারা। নেতারা বলেন, আনিস কে? আমরা চিনি। এমন বেনামি ঠিকানা বিহীন নিউজ পোর্টালে অপপ্রচার করলেই সে যুবলীগ হয়ে যাবে না। আমরা সব বুঝি।
ওই নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে আনিসুর রহমানকে নিয়ে নিউজের লিংক শেয়ার করলে এতে বিএনপির একজন নামী নেতা মোঃ আল মামুন খান কমেন্ট করেন, ‘আনিস ২০২৩ সালের যুগপৎ আন্দোলনে বনানী থানা বিএনপির সাথে প্রত্যেকটা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে, ১ নভেম্বর ২০২৩ বিএনপির কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার হয়ে প্রায় তিন মাসের মত কারাভোগ করেন। এবং ছাত্র আন্দোলনের সময় বিএনপি ঘোষিত প্রত্যেকটি কর্মসূচী বনানী থানা বিএনপির সাথে অংশগ্রহণ করে।’
এছাড়া আনিসুর রহমানের বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন আল মামুন খান।
মেহেদী হাসান কমেন্ট করেছেন, ‘আনিস আমার ছোটবেলার বন্ধু। সে বিএনপি করে সবাই জানে। যেই ছবিটা দেওয়া হয়েছে এটা একটা পিকনিকের। ছবির সবাই এলাকার। সবাই বন্ধু বান্ধব। আনিস আগেও বিএনপি করতো এখনো করে।’
সাহাদাত হোসেন শিশির কমেন্ট করেছেন,
‘বাম পাশের ছবিটা আমাদের এলাকার একটা পিকনিকের ছবি, কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের ছবি না। আমাদের এলাকার সবাই জানে আনিস ভাই বিএনপি করে। মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করেন।’
রাহাতুল ইসলাম কমেন্ট করেন, ‘আনিস ভাই বিএনপি যুগপৎ আনন্দলোনে বনানী থানা বিএনপির সাথে প্রত্যেক কর্মসূচির সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন কারা নির্যাতিত নেতা এমনকি ২০২৩ সালে রাজপথে আন্দোলন করতে চেয়ে তিন মাস কারাগারে থেকেছেন কাশিমপুর ১ – কারাগারে সেখানে আমিও ছিলাম অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কিছু হাইব্রিড কর্মী ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সেটি হলো একটি পিকনিকের ছবি আনিস ভাইকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য রাজনৈতিক থেকে দূরে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন আনিস ভাই একজন রাজপথে লড়াকু সৈনিক যাকে পুলিশ হামলা মামলা দিয়ে দমাতে পারেনি অনেক ত্যাগী নেতা অনেক কষ্ট করেছেন জেলখানায় আনিস ভাই। আল্লাহপাক অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবেন।’
এ বিষয়ে আনিসুর রহমান বলেন, ‘এই নিউজ নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। তার কারণ সবাই জানে আমি কে! যারা আমাকে চিনে জানে সবাই এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছে।