1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
বিচার, সংস্কার, নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিন: সরকারকে হাসনাত - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :

বিচার, সংস্কার, নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিন: সরকারকে হাসনাত

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ৪৬ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // দেশবাসীকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে, অবিলম্বে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের সুষ্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিপক্ষে ‘একটি মহল অবস্থান নিয়েছে’ বলেও অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় পথসভায় অংশ নিয়ে কথা বলছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, “আমাদের এই লড়াই দীর্ঘ, আমাদের এই সংগ্রাম দীর্ঘ। আমরা ভেবেছিলাম ৫ অগাস্ট আমাদের লড়াই শেষ হয়েছে।

“কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় আমরা দেখছি একটা পক্ষ সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। একটা পক্ষ আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। একটা পক্ষ আবার দেশটাকে বিভাজনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশটাকে সমন্বিতভাবে গড়তে হবে।”

জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক ছোট ছোট মত পার্থক্যকে দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বলেছেন আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাই আপনারা অবিলম্বে বিচার কার্যক্রম, সংস্কার কার্যক্রম এবং নির্বাচনের সুষ্পষ্ট রোডম্যাপ জাতির সামনে প্রকাশ করুন।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে আবদু্ল্লাহ বলেন, “রাষ্ট্রের যে অন্যান্য সংগঠনগুলো রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো রয়েছে, আপনারা ভুলে যাবেন না আপনাদের অতীতে ফ্যাসিবাদী হাসিনাশাহী সরকার আপনাদের ব্যবহার করেছে। আপনাদেরকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। পুলিশ-সেনাবাহিনী এবং সরকারের অন্যান্য যারা রয়েছে তারা জনগণের বন্ধু-সহযোগী।”

“কিন্তু হাসিনাশাহী সরকার রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলো হবে স্বাধীন এবং জনগণের সাথে তাদের থাকবে কার্যকর জবাবদিহিতামূলক সম্পর্ক। কোন প্রতিষ্ঠানকে, পুলিশকে, প্রশাসনকে এনসিপি নিয়ন্ত্রণ করবে না। পুলিশ হবে বাংলাদেশপন্থি, প্রশাসন হবে বাংলাদেশপন্থি, বিচার বিভাগ–নির্বাচন কমিশন হবে বাংলাদেশপন্থি। কোন দলপন্থি পুলিশ-প্রশাসন-নির্বাচন কমিশন- বিচার বিভাগ আমরা চাই না।”

জনতার উদ্দেশে আবদুল্লাহ বলেন, “আপনারা কি মুজিববাদী সংবিধান আর সংসদে দেখতে চান? এই মুজিববাদী সংবিধান দিয়ে বাংলাদেশ পরিচালনা দেখতে চান? আমরা চাই, এই মুজিবাবাদী সংবিধান অবিলম্বে সংস্কার করে দেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে এমন সংবিধান সেখানে কার্যকর করা হোক। “

এনসিপির এই নেতা বলেছেন, তাদের বক্তব্য হল কোনো বৈদেশিক শক্তির প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ ‘পরিচালিত হবে না’।

“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশ বহি:শক্তির সাথে ন্যায্যতার ভিত্তিতে এবং সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পরিচালিত হবে। সাম্য, সম অধিকার এবং ন্যায্যতার বাংলাদেশ গড়তে চাই।“

তিনি বলেছেন পরবর্তী বাংলাদেশ হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।

সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে আবদুল্লাহ বলেন, “আপনারা আর কোনো সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করবেন না। আপনারা যেভাবে ৫ অগাস্টে জনগণের কাতারে নেমে এসেছিলেন সেভাবে জনগণের সাথে থাকুন। আমরা একসাথে ভবিষ্যত বাংলাদেশ বির্নিমাণ করব।”

এর আগে সকালে নগরীর বিপ্লব উদ্যান থেকে পথসভা শুরু করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার (শনিবার) কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করার জন্য।“

আবদুল্লাহর কথায়, সার্বিক বিষয়ে জন আকাঙ্খা জানার জন্য এই কর্মসূচিকে নেমেছেন তারা।

কর্মসূচি নিয়ে আবদুল্লাহ বলেন, “সারাদেশে মানুষের কাছে এনসিপির পক্ষ থেকে আমাদের এই যাওয়া অব্যাহত থাকবে। আমাদের দল কিভাবে ভাবছি সেগুলো মানুষকে জানানো এবং মানুষের চিন্তাগুলো জানা এটাই লক্ষ্য।”

মৌলিক সংস্কার, নতুন সংবিধান, আইন সভা ও গণপরিষদ নির্বাচন একই সাথে হওয়া এবং বিচারের দাবিতে জনমত গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ তারা দেখতে পাচ্ছেন কী না জানতে চাইলে আবদুল্লাহ বলেন, “পলিসির জায়গা থেকে রাজনৈতিক দলের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে। আবার যখন সংকটকালীন সময় আসে বিভেদটাই আমরা কাটিয়ে উঠে ঐক্যবদ্ধ হই। এটাই হচ্ছে আমাদের জাতীয় চরিত্র।

“বিভেদ, মত পার্থক্য যেমন চলমান রয়েছে তেমন জাতীয় সংকট উত্তরণের জন্য সামগ্রিক প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।”

আবদুল্লাহ বলেন, “যখনই দেশ বিরোধী কোন ষড়যন্ত্রের প্রচেষ্টা হয়েছে, আমরা সামগ্রিকভাবে গণঅভুত্থ্যানে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই দেশবিরোধী ও বাইরের যে ষড়যন্ত্র সেগুলো আমরা মোকাবেলা করেছি।”

উপদেষ্টাদের মধ্যে দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিষয়ে আবদুল্লাহ বলেছেন, তারা গণঅভুত্থ্যানের প্রতিনিধি হিসেবে এই সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছে। কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে না। এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে তারা এই সরকারে নেই।

“বরং গণঅভুত্থ্যানের সবার প্রতিনিধি হিসেবে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাদেরকে দলীয় পরিচয় করানোর মধ্য দিয়ে তাদের যে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এই বিষয়টির আমরা নিন্দা জানিয়েছি। আমরা একই সাথে বলেছি, এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে দু্ই ছাত্র উপদেষ্টার সম্মানহানী যেন না হয়।”

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ এবং সংগঠক আরমান হোসেন।

এর আগে সকালে নগরীর বিপ্লব উদ্যান থেকে যাত্রা শুরু করেন এনসিপির নেতারা।

এদিন দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দোহাজারী, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে পথসভা করার কথা রয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ