অপর ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীও দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কোন দ্বৈবিপাক না হলে একেএম জাহাঙ্গীরই হতে যাচ্ছেন বরিশাল জেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান।
এক সাক্ষাতকারে একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। ছাত্রজীবনে কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। আইনজীবী সমিতির শীর্ষ পদেও ইতোপূর্বে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সেবা করার সুযোগ আছে বলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর। তার মতে, তৃণমূল মানুষের সেবা করার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি তার কাছে উত্তম।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে আনন্দ আছে। এ জন্য মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন একেএম জাহাঙ্গীর।
একক প্রার্থী হলে নির্বাচিত হওয়ার বিধান সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের (২৫ সেপ্টেম্বর) পরদিন বেসরকারিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। পরে গেজেট জারি করে নির্বাচন কমিশন।
তিনি জানান, জেলা পরিষদে এবার চেয়ারম্যান ছাড়াও ১০ উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ১০ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর।
২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলায় মোট ভোটার ১ হাজার ২৯১ জন।
Leave a Reply