নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশাল বাকেরগঞ্জ বেগম শামসুদ্দিন ডিগ্রী কলেজ রানির হাট দুর্নীতি দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। জানাজায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে উপবৃত্তির ফরম পুরনে ৩০০ টাকা করে নিচ্ছেন কলেজ কতৃপক্ষ।
এ টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব রয়েছেন অফিস সহায়ক হাসান ও মুনতাসির । সংবাদকর্মীগণ হাসানের কাছে ৩০০ টাকা করে কেন নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে হাসান বলেন এসব ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। অধ্যক্ষ স্যার সব কিছুই জানেন।
তিনি সংবাদকর্মীদের সাথে বিদ্রুপ আচরণও করেন। সংবাদ কর্মীগণ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি কোন কিছু জানেন না বলে প্রথমে ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ও পরবর্তীতে সব অকপটে স্বীকার করেন। অধ্যক্ষ বলেন আমি কাউকেই ৩০০ টাকা করে নিতে বলিনি কেন নিচ্ছে তাও জানিনা। সংবাদ কর্মীগন যখন অধ্যক্ষ স্যারের সাথে আলাপচারিতা করতে থাকেন তার মধ্যে সবজান্তা সমচের নামে একজন হাজির হন নাম অনিমেষ সাহা লিটু।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় এই লিটু ২০১০ সালে জেনারেল শাখার প্রাকটিক্যাল পদার্থ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। দাম্ভিকতার শহীদ নিজেকে একজন প্রবীণ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শ্বাসাতে থাকেন সাংবাদিকদের। তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক জানতে চাইলে মিডিয়াকর্মীদের উপর চড়াও হন এবং পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন আমরা মোট ৬৩ জন ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নিয়েছি। আর কোন টাকা নেওয়া হবে না যা নিয়েছি সমুদয় টাকা ফেরত দিয়ে দিব।
টাকা নেওয়ার কোন বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই। নিচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ভুল স্বীকার করেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো সবজান্তা শমসের অনিমেষ সাহা লিটু অনেককে ফোন দিয়ে মিডিয়াকর্মীদের হেনস্ত্র করার বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তার এই অশুভ শক্তির খুঁটির জোর কোথায় পেলেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি কি শিক্ষক নাকি বাকশাল গুন্ডা না মাস্তান তার আচার-আচরণে বোজা মুশকিল।
স্থানীয় ও প্রবীণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায় কিছুদিন আগে শীতের দিনে শিক্ষা সফরে বাসের ভিতর ছাত্রীদের সাথে চাদর মুড়ি দিয়ে খারাপ আচরণ করেছিলেন সে যাত্রা মাপ চেয়ে রক্ষা পান। বর্তমানে কলেজে অধ্যানরত অনেক ছাত্র ছাত্রী বলেন তার আচরণ যথেষ্ট খারাপ। তিনি একজন লোক হয়ে করেন তিনটা চাকরি ১.শিল্পকলাএকাডেমি ২.কলেজের টিচার এবং সাংবাদিকতা। তার এহন রূঢ় আচরণে কলেজের সহকর্মীরা সহ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা অতিষ্ঠ। তার ভাবসাবে মনে হয়েছে অধ্যক্ষ সহ কলেজের যত টিচার রয়েছেন তাদের সবার অধ্যক্ষ তিনি। তার সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে আরো জানা যায় কখনোই সময় মত কলেজ করেন না সবজান্তা শমসের অনিমেষ সাহা লিটু। ৩০ দিনের ১৫ দিন ও ঠিক মতো কলেজে উপস্থিত থাকেন না তিনি । আরও জানা যায় স্থানীয় এক মেম্বারের ভাইয়ের সাথে তিনি খারাপ আচরণ করেন। তার খারাব আচরণের কারণে মাফও চাইতে হয় মেম্বারের ভাইয়ের কাছে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক অনেক সহকর্মী বলেছেন লিটু একজন নারী লোভী তার চরিত্র ভালো না।
কলেজের যত দুর্নীতি তার কলকাঠি নারাচারা করেন তিনি। পরিশেষে কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান সমস্ত টিচারদের সম্মুখে সংবাদকর্মীদের কাছে লিটুর হয়ে ক্ষমা চান এবং নিউজ না করার অনুরোধ জানান।