ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায় বজ্রপাতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন নাবালক ও দুই যুবক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় বজ্রপাতের ঘটনায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় সেখানকার সংবাদমাধ্যমগুলো।
জানা গেছে, এদিন দুপুরে মালদহ জেলায় হঠাৎ করেই বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। পুরোনো মালদহের একটি আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সেসময় বজ্রপাতে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন- চন্দন সাহানি (৪০), মনোজিৎ মণ্ডল (২১) ও রাজ মৃধা (১৬)।
এদিকে, মালদহের গাজোলে আদিনা আমবাগানে বজ্রপাতে অসিত সাহা (১৯) নামক একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। মানিকচক ব্লকে প্রাণ গেছে রানা শেখ (১১) শেখ সাবরুল (১১) নামক দুই শিশুর ও অতুল মণ্ডল নামক এক বৃদ্ধের।
অন্যদিকে, বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় রতুয়া থানা এলাকার সুমিত্রা মণ্ডল (৪৫) নামে এক নারীর। হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুশাডাঙ্গা গ্রামে চাষের কাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন নয়ন রায় (২৩) ও প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)। এছাড়া ইংলিশ বাজারে পঙ্কজ মণ্ডল নামে ২৩ বছরের এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বজ্রপাতের ঘটনায় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছেন আরও দুজন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়বৃষ্টি দেখে আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল তারা। সেই সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে এক বৃদ্ধা ও এক দম্পতিও রয়েছেন। ঝড়ের সময় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার।
এদিকে মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক নিতিন সিংহানিয়া। তিনি বলেন, বজ্রপাতে মৃতদের দুর্যোগ তহবিল থেকে দুই লাখ রুপি করে দেয়া হচ্ছে। সরকারি সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে। নির্বাচনী বিধি-নিষেধ রয়েছে। কিন্তু বিপর্যয় ঘটে গেছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে সব রকমের সাহায্য করা হচ্ছে।