ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের বহু এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। এখানে বৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনায় একদিনে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
আসাম রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৬ জুন থেকে এখানে দ্বিতীয়বারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে, এতে ১৯ জেলার ছয় লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং আট হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সোমবার রাজ্যটিতে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফাইজুল ইসলাম বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বন্যার পানি এখন আমার ঘরে ঢুকেছে। পানিতে আমার ধান ও অন্য ফসলগুলো ডুবে গেছে। পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে এখানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমি আমার বাড়িটিও হারাবো।’
এএনআইয়ের ভিডিও ফুটেজগুলোতে ডুবে যাওয়া ফসলের মাঠ ও সড়ক দেখা গেছে। লোকজন তাদের ডুবে যাওয়া বাড়ি থেকে আসবাবপত্র ও অন্যান্য মূল্যাবান জিনিস সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রতিবেশী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও টানা বৃষ্টির ফলে ও ভারত থেকে নেমে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আসামের প্রতিবেশী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের রজধানী ইটানগরে অবিরাম বর্ষণের কারণে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগামী তিন দিন ওই অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে দেশটির পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে তারা।