
দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও রেল যাত্রী এবং পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ষষ্ঠ দিনে মহাসড়কেও ছিল না যানজট। রেলে যারা ফিরেছেন তারাও ছিলেন স্বস্তিতে। আজ যারা বাসে এসেছেন তাদের বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিক। আশুলিয়া, সাভার, আমিনবাজার, বাইপাইল ও গাজীপুর এলাকায় নেমে গেছেন। আর গাবতলীতে যারা ফিরেছেন তাদের অধিকাংশ কর্মজীবী। কেউ সরকারি আবার কেউ বেসরকারি চাকরি করেন।
বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সোমবার রাতে যারা রওনা হয়েছিলেন তারা আজ সকালে গাবতলী ও মহাখালীতে পৌঁছেছেন। তবে সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল ও মাজার রোড মহাখালীতে বাস কর্মীদের তেমন কোনো হাঁকডাক নেই। নেই যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা।
মাজার রোডে জাহিদ বলেন, দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে তেমন কোনো ভোগান্তি ছিল না। মাঝপথে দুই-এক জায়গায় হালকা কিছু গাড়ির জট ছাড়া অনেকটা নির্বিঘ্নেই এসেছি। আজ কাজে যোগ দিতেই হবে। ছয়দিন ছুটি কাটালাম। এমন লম্বা ছুটি কখনো পাইনি। তাই আজ সকাল সকাল ঢাকায় ফিরেছি।
ময়মনসিংহ থেকে মহাখালীতে আসা মালেক বলেন, ঈদ পার হয়ে গেল ভাড়াটা এখনও বেশি নিচ্ছে। সাধারণ সময় সরিষাবাড়ী থেকে এই বাসে ঢাকায় আসি ৩৫০ টাকায়, আজ নিয়েছে ৫০০ টাকা।
বগুড়া থেকে উত্তরায় আসা সালাউদ্দীন বলেন, চাকরিজীবীদের মতো ঢাকায় ফেরার তাড়া ছিল না। পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে আরও কয়েকটা দিন বেশি কাটিয়ে আসলাম।
গাবতলীতে হানিফ পরিবহনের একটি বাসচালকের সহকারী হাশেম জানান, তার গাড়ি রংপুর শহর থেকে এসেছে। যাত্রী ভরা ছিল। তবে পথে তেমন কোনো ঝামেলা ছিল না। ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরছে মানুষ।
এছাড়া ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একে একে সদরঘাটে ভিড়তে থাকে ঢাকা মুখী লঞ্চ। স্বজনদের ছেড়ে আসায় চোখে-মুখে খানিকটা বিষন্নতা থাকলেও পেশাগত দায়িত্বের কথা মনে রেখে সেসব ভুলে যেতে হয় কর্মজীবীদের।
অন্যদিকে, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার দাবি করেন, অন্য সব দিনের মতো এবার ঈদেও রেলে স্বস্তিতে মানুষ যেমন ঈদ উদযাপনে গেছে, ঠিক তেমনি হাসিমুখে ফিরছেনও।