নিজস্ব প্রতিবেদক // ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের আওতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় জুবাইদার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।
২০০৮ সালে এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। সে সময় তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্যে ছিলেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করে লন্ডনে পাড়ি জমান তারা। এরপর দীর্ঘ সময় দেশে না থাকায় কেউই ভোটার হননি।
গত ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। ঈদুল আজহার আগেই নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা তার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এরপর ৫ জুন তিনি আবার লন্ডনে ফিরে যান।
নিবন্ধন হলেও চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত হবে পুরো হালনাগাদ প্রক্রিয়া শেষ হলে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি ফেব্রুয়ারিতে হয়, সে ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা আইন সংশোধনের মাধ্যমে তার আগেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের চিন্তা করছে কমিশন।
নিবন্ধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে জুবাইদার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।’’
পেশায় চিকিৎসক জুবাইদা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা বেড়েছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা এই চিকিৎসককে ঘিরে সিলেটে আনন্দমিছিল ও পোস্টারিং হয়েছে। বেনামি পোস্টারে তাকে সিলেট-১ আসনে ‘মর্যাদাপূর্ণ প্রার্থী’ হিসেবে দেখতে চাওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ভোটার হতে হয়। আর ভোটার হলে তিনি দেশের যেকোনো আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন। ফলে জুবাইদার ভোটার হওয়া তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে কি না, এ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।