বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলার সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আলী হয়দার কামালের আদালতে এই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ভোলা থানার সাব ইন্সপেক্টর আনিস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া নাম রয়েছে ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনের।
এর আগে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মোট ২টি হত্যা মামলা করা হলো।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাসেত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩১ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি তেল গ্যাস মূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। এ সময় নুরে আলম পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। ৩ দিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আমিরুল ইসলাম আরও জানান, আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ময়নাতদন্তের রির্পোটসহ যাবতীয় কাগজপত্র আদালতে জমা দেয়ার জন্য ভোলা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ, ৩১ জুলাই তেল গ্যাস মূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় নিহত হন সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম। এ ঘটনায় গত ৪ আগস্ট ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় নিহতের আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আদালতে ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply