ভোলা প্রতিনিধি // ভোলা সদর উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে জমি জমা কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল আনুমানিক সকাল ৭:৩০ মিনিট এর সময় ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামের ক্রয়কৃত নিজ ফসলি জমিতে ,কালাম গং জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালাতে গেলে ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪৫) স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মোহাম্মদ রাজা (১৮) পিতা মোঃ শফিকুল ইসলাম বাঁধা দিলে তাদেরকে মারমুখী হয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন ।মোহাম্মদ কালাম পিতা জব্বার পন্ডিত ও জিয়া পিতা কালাম হিরো পিতা কালাম ও তার মেয়ের জামাই শফি সহ আরো বেশ কয়েকজনে মিলে আহতদেরকে ফসলি জমিতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম।
তথ্যসূত্রে মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের কে জানান দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত পূর্বে জমির মূল মালিক আব্দুল মালিক এর কাছ থেকে ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘ বছর ধরে সে জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করে আসছে, হঠাৎ করে অভিযুক্ত কালাম গং সে জমি অন্য ওয়ারিশগণের কাছ থেকে ক্রয় করে এ জমি দাবি করে, আমার জমির খতিয়ান নাম্বার ১৬৫ দাগ নাম্বার ৪৬০/৪৫৯ বর্তমান জমিটিতে আমি ভোগ দখল করে আসছি ,শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৭:৩০ মিনিটের সময় আমার ফসলি জমিতে তারা ধান ভেঙ্গে জোরপূর্বক ফসল নষ্ট করে জমি দখল করতে আসলে আমার বড় ছেলে মোহাম্মদ রাজা বাধা সৃষ্টি করলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে, এবং তার চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ঘটনায় স্থানে গেলে তাকে মারধর করে এবং তাদের বাক চিৎকার শুনে বিলের ভিতরে স্থানীয় লোক ছুটে আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। আমি মার ধরে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কে জানিয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় ডিউটি অফিসার কে দেখিয়ে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল ভর্তি করি। আমি চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার স্ত্রী ও আমার ছেলেকে মারধরের বিচারের দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।
মারধরের বিষয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জমির বিষয় জানতে চাইলে মোঃ মোতাহার হোসেন জানান দীর্ঘ ১০-১২ বছর এ জমি শফিকুল ইসলাম চাষবাস করে আসছে, কিন্তু কালাম গ্রুপ এ জমি নিয়ে এলাকায় অনেকবার বসা বসি করেছে আমরা বিষয়টি জানি, এবং স্থানীয় সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ কুদ্দুস জমির বিষয়ে জানান দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এ জমি নিয়ে ঝামেলা চলে আসছে, হঠাৎ করে শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৭ টা ৩০ মিনিটের সময় আমরা বাক চিৎকার শুনতে পাই তখন ফসলি জমিতে গেলে ঘটনাস্থলে যাইয়া দেখতে পেলাম শফিকের স্ত্রী ও ছেলেকে পানির ভিতরে কাদা মাখানো অবস্থায়, পরে আমরা দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠাই কালাম গ্রুপ স্থানীয় কোন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে তোয়াক্কা করে না।
মারধরের বিষয় অভিযুক্ত কালাম গন্ধের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি, মারধরের বিষয় স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।
মারধরের বিষয়টি ভোলা সদর মডেল থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এনায়েত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষয়টি শুনেছি দুই গ্রুপের মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply