ভোলা, প্রতিনিধি
অভাব-অনটনে পড়াশোনা করতে পারেনি, মাত্র ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ থাকে পড়া লেখা। অল্প বয়সেই ঘুরতে হয় চাকুরীর পিছনে কিন্তু আশানুরূপ চাকুরী মিলেনি। পরবর্তীতে ধানের ব্যবসা শুরু করেন দুলাল।
সে ব্যবসায়ও তেমন লাভবান না হওয়ায় ২০১২ সালে শুরু করেন প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যের ব্যবসা। দুইটি মেশিন ও ৫/৬জন কর্মচারী নিয়ে আল আবরার ট্রেডার্স নামের ফ্যাক্টরীতে আনুষ্ঠানিক যাত্রায় ভাগ্য বদলে যেতে থাকে দুলালের।
বৃদ্ধি পেতে থাকে ব্যবসার পরিধি, বাড়তে থাকে মেশিন, কর্মচারী, হকার এবং খুচরা বিক্রেতাদের দাদন। ছোট পরিসরের ব্যবসাটি বিশালকার ধারণ করে।
বলছি ভোলা সদর উপজেলা শিবপুর চাউলতা তলা এলাকার আল আবরার ট্রেডার্সের পরিচালক মোঃ দুলাল মিয়ার কথা। যিনি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যকে টুকরো টুকরো করে কেটে আগুনে তরল করে তৈরি করেন প্লাস্টিকের সুতা। কুড়িয়ে পাওয়া অব্যবহৃত প্লাস্টিকের এ পন্য পুনরায় বাজার জাত করেন দুলাল। যা ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। ধীরে ধীরে এ পন্যের চাহিদাও বেড়েছে অনেক।
ভাগ্য বদলে যাওয়া দুলাল ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বদুর বাড়ীর চান মিয়ার ছেলে।
তরুণ উদ্যােক্তা দুলাল বলেন, আমি প্রথমে ধানের ব্যবসা করতাম, পরবর্তীতে ব্যবসাতে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা শুরু করি।
ধার-কর্জ করে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে যাত্রা শুরু করি। প্রথমে দুইটি মেশিন এবং ৫/৬জন শ্রমিক নিয়ে শুরু হলেও আজ সকলের দোয়ায় আমার ৪০/৪৫ জনের মত শ্রমিক কাজ করে। আমার দাদন আছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা এবং মেশিন এখন আটটি। প্রতি মাসে প্রায় তিনলক্ষ টাকা স্টাফের বেতন দেয়া হয় বলেও জানান দুলাল। দুলাল জানান, আমার মেশিনে সুতা হয় যা ভোলাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। পুরানো ফেলে দেয়া পণ্য দ্বারা পুনরায় প্লাস্টিকের নতুন পণ্য তৈরি করি।
এখন তো অনেক শিক্ষিত যুবকরা চাকুরীর পিছনে ঘুরে, এ চাকুরীর পিছনে না ঘুরে ছোট-পরিসরে ব্যবসা বা উদ্যােক্তা হলে তিনিই একদিন চাকুরী দিবে অন্যকে। যেমনটা আমি দিয়েছি বা দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ ।