ভোলা প্রতিনিধি // ভোলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বারি দিয়েছে আঘাতে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলাধীন নবীপুর ০৯ নং ওয়ার্ডের ভোলা সদর হাসপাতালের পিছনে রমেশ মুচির বাড়ীর দরজার সামনে পাকা রাস্তার উপরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী মো. আবুল কাশেম (৩৫) তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিলারশিপ এর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তার ডিলারশিপ ব্যবসার জন্য একজন ডিএসআর প্রয়োজন হলে মো. জুনায়েদ চাকরি করতে রাজি হয়। সেই সুবাদে দুইদিন তার ডিলারশিপ পয়েন্টে প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিয়ে কালেকশনের ৩০ হাজার টাকা মালিকের কাছে জমা না দিয়ে মো.জুনায়েদ নিজের কাছে রেখে দেয়। ব্যবসায়ী মো.আবুল কাশেম তার কাছে টাকা চাইলে তিনি তার ডিলারশিপ পয়েন্টে আর আসে না। ডিএসআর মো.জুনায়েদের অপেক্ষায় থেকে তাকে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা চাইলে তিনি তার উপারে খেপে যায়। এক পর্যায়ে ডিএসআর মো.জুনায়েদের বাবাকে দিয়ে ফোন করায় ডিএসআর মো. জুনায়েদ কথা আছে বলে। ফোন পেয়ে মো. আবুল কাশেম তার দেওয়া ঠিকানায় আসেন। তখন আসরের আযান দিলে মো. আবুল কাশেম নামাজে যাবে বলে মো. জুনায়েদের বাবাকে বলে। তখন তিনি বলেন চলেন আমরা নামাজ পড়তে যাই। কিছুদূর যেতে না যেতেই মো. আবুল কাশেম এর মাথা সহ শরিলের বিভিন্ন জায়গায় এলো পাতালে লোহার রড, বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে চলে যায়। মো. জুনায়েদ (২২) ও তার পিতা- মো. মোতাহার হোসেন, মো. মোতাহার হোসেন, (৫০) মো. জিহাদ, (২২) মো. নাছির উদ্দিন, (২৮) মো. তামিম, (২১) মো. হাসনাইন, (২০) মো. ইয়ামিন, (২০) মো. তানজিল, (২২) মো. শিহাব উদ্দিন, (২৩)হামলাকারীরা সবাই রতনপুর, ৭নং ওয়ার্ড, শিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো.আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের কে জানান। মো. আবুল কাশেম কে ৭ থেকে ৮ জন লোকেরা এলো পাতালে মার দূর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার পুরো শরীর জামা কাপড় সহ রক্তে লাল হয়ে যায় । এমন অবস্থায় তাকে আমরা কয়েকজনে মিলে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। এক পর্যায়ে বারির আঘাতে তার মাথা ফেটে যায় এবং তার মাথায় ৪ টি সেলাই করা হয়েছে। হামলায় আহত অবস্থায় মো.আবুল কাশেম সাংবাদিকদের কে জানাই। হাসনাইন তার হাতে থাকা কাঠের লাঠি দ্বরা আমার ডান কাধে আঘাত করিলে উক্ত আঘাতে আমার ডান কাধে ফুলা জখম হয়। ৭ থেকে ৮ জন মিলে আমার শরিরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারী ভাবে মারপিট করে শরিরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। এবং উক্ত ব্যক্তিগণ সম্মিলিত হামলায় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। উক্ত হামলাকারীরা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে রিফাত ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে অটো রিক্সা যোগে আমাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে জরুরী বিভাগে নিয়া আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার আমার অবস্থা গুরুতর দেখে জরুরী ভাবে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে আমার জ্ঞান ফিরলে আমি আমাকে হাসপাতালে আনার বিষয় স্বাক্ষি রিফাত এর নিকট জানতে পারি। হামলাকারীরা পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে সম্মিলিত হামলা করে। তারা আমাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। এমতবস্থায় আমি আমার জীবন নাশের আশংকায় আছি। এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাইন পারভেজ সাংবাদিকদের কে বলেন। আমি বাদীর কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।