এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার ভাই আব্দুর রাজ্জাকসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন সদর হাসপাতালের মর্গে সামনে নিহতের স্বজনদের সমবেদনা জানিয়ে এ হত্যার বিচার দাবি করেন। একইসাঙ্গে নিহত আব্দুর রহিমের স্বজনরাও হত্যার বিচার দাবি করেন।
অপরদিকে রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলায় আসামি করা হয় ৬৭৫ জনকে।
মামলা দুইটিতে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, দৌলতখানে ১ জন ও বোরহানউদ্দিনে ৩ জন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মে. এনয়েত হোসেন মামলার তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে নিহত আব্দুর রহিমের জানাজা শেষে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর দাবি করেন, পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, পুলিশ নির্বিচারে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে তাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। কালকের ঘটনার পর থেকে পুলিশ পুরো জেলায় নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। এতে নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছে না।
জানাজায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খন্দকার আল আমিন, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply