মো:রাশেদ খান ভোলা // ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সুন্দরখালি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এর ভোগদখলীয় জমি দখলে নিতে মরিয়া পার্শ্ববর্তী আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবশালী এক ইউপি সচিব মোঃ ফারুক বাকলাই গংরা। উক্ত জমি বালু দিয়ে ভরাটকালে বাধা দিলে নানা ধরনের হুমকি দামকি ও ভয়বৃত্তিক প্রদর্শন করে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়েল করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ফারুক গংয়ের সাথে শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত (২৭ নভেম্বর) ফারুক বাকলাই গংরা দা, বগিদা, লাঠি সোটা ও লোহার রড নিয়ে ৭০ বছর দরে আমার ভোগ দখলীয় ও জমির মধ্যে ঢুকে দখল করার উদ্দেশ্যে ট্রাক ভর্তি বালু ফালানোর চেষ্টা করে। আমি বালুপালাতে নিষেধ করলে ফারুক বাকলাই গংরা আমাকে গালমন্দ ও মার ধোর করতে এগিয়ে আসে এবং প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এ সময় আমি স্থানীয় লোকজনকে অবগত করলে তারা এসে বালু ভড়াট করা বন্ধ করে দিলে অজ্ঞাত সালাউদ্দীন নামের জনৈক ব্যক্তি বালি ভরাট করতে না দিলে ফোনে প্রাননাশের হুমকি দেয় এবং আরো বলে, যে কোনো মূল্যে জমি জবর দখল করে নিব। এবং প্রয়োজনে জমি দখলে নিতে কয়েকটি খুন করারও হুমকী দেয়। তাই আমি বড় ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে ওই দিনই ভোলা সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে কাগজ পত্র নিয়ে মিমাংশায় বসতে বলে। এদিকে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে দেখে এসেছি ওই জমি শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন স্যার ভোগদখলে আছে। জমির পার্শ্ববর্তী বাড়ির জনৈক জাহাঙ্গীর বেপারী জানান, ইউপি সচিব ফারুক বাকলাই এই জমিতে গত দুইদিন ধরে জোরপূর্বক বালু ভরাট করছে। তাদের কাজই এমন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জেলা উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষের জায়গা জমি দখল করে আসছে। তারা কোট – কাচারির রায়ও মানে না। এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সচিব ফারুক বাকলাই বলেন, আমাদের জমিতে আমি বালু ভরাট করছি । এই জমি আমার বাবার রেকর্ডিশ সম্পত্তি । এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি এই জমি এওয়াজবদল সূত্রে ৭০ বছর ধরে ভোগ দেখলে আছি। এখানে যে গাছপালা আছে তা আমি নিজের হাতে রোপন করেছি। এখন জোরপূর্বক ফারুক বাকলাই আমার জমিতে বালু ফালায় এবং গাছ কেটে নিয়েছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।