স্টাফ রিপোর্টার // কলাপাড়ার মহিপুর থানার আলিপুর গ্রামে স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্বামীকে হত্যার চেষ্টায় হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার সাথে থাকা নগদ ৫০৫০০ টাকা ও স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়।গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে বারোটার দিকে আমজেদপুর স্কুলের পিছনে নিজ বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতের নাম সবুজ মোল্লা, সে ওই এলাকার আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে ও একজন মাছের আরদ ব্যবসায়ী। বর্তমানে গুরুতর অবস্থা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সবুজ মোল্লা জানান, দীর্ঘ আট বছর পূর্বে সবুজ মোল্লার সাথে লতাচাপলি ইউনিয়নের দিয়ারামখোলা এলাকার করিম হাওলাদারের মেয়ে রাশিদার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রাশিদা বিভিন্ন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বিয়ের পূর্বে রাশিদার আরো বিয়ে ছিল এটা গোপন রেখেছে রাশিদার পরিবার। ওই ঘরে তার একটি সন্তানও রয়েছে। বিষয়টি বিয়ের পর জানাজানি হলে পারিবারিকভাবে দ্বন্দ্ব হয়। পরের সুখের কথা চিন্তা করে সাংসারিকভাবে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় সবুজ। গত এক বছর পূর্বে রাশিদা ওই এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক করে তা সবুজের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী সবুজের সাথে রাশিদার দন্ধ হয়। এনিয়ে সবুজের বিরুদ্ধে রাশিদা বাদী হয়ে পটুয়াখালী আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলা করেও রাশিদা সাবলীল ভাবে সবুজের সাথে সংসার করে। গত কয়েকদিন ধরে রাশিদা তার নামে জমি লিখে দিতে সবুজ মোল্লার কাছে দাবি করে।
এরই জেরে ঘটনার দিন শুক্রবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সবুজ মোল্লা আরোদের কার্যকলাপ শেষ করে বাসায় যাওয়ার পথে একা পেয়ে পথ রোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা চালায় রাশিদার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। একপর্যায়ে রাশিদার ভাই কালু, রাশিদার আগের ঘরের ছেলে হৃদয়, তাদের সহযোগি জাফর, আবুল খন্দকার, সুজন, আল-আমিন, আলী হোসেন সহ অজ্ঞাত নামদাড়ি ৭/৮ জন আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে সবুজ মোল্লাকে হত্যার চেষ্টায় এলোপাতাড়ি ভাবে বগিদা, চাপাটি, জিয়াই পাইপ ও রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সবুজ মোল্লা আরো জানিয়েছেন, তার স্ত্রী রাশিদার অপর চার বোন ও ভাইদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে। সবুজের সমন্ধি আলী হোসেন তার স্ত্রীকে পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করে। এদের চরিত্র ভালো না। এই পরিবারটি এলাকার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বল অভিযোগ করেন।স্থানীয় পরিবারের লোকজন সবুজকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা তুলাতুলি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
সবুজ আরো জানান, আমার বসত বাড়িটা রাশিদা তার নামে লিখে দিতে সবুজকে চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও রাশিদা তার পূর্বের স্বামীর সাথে এখনো যোগাযোগ রাখছে।আর এটাকে কেন্দ্র করে সবুজকে হত্যার টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের সজনরা জানান।