কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি // মহিপুরের শানু খানের (৪৫) মাছের ঘেরে রাতের আধারে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার ১১অক্টোবর মধ্যরাতে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামাপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এতে তার কমপক্ষে দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, বরাবরের মত গতকাল শুক্রবার রাতে ঘেরে মাছের খাবার দিয়ে বাসায় যায় শানু খান। আজ শনিবার সকালে এসে দেখেন ঘেরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে, কিছু মাছ ছোটাছুটি করছে।
শানু খানের ছোট ছেলে কোয়েল খান জানান, তিনি সকালে ঘেরের পাশে এসে দেখে কিছু মাছ ভেসে উঠেছে। কিছু মাছ ছোট ছুটি করছে। এরপর তিনি তার বাবাকে বিষয়টি জানান। তার বাবা এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘেরের গলদা চিংড়ি দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী খলিল সিকদার বলেন, সকালে শুনতে পাই শানু মিয়ার ঘেরে মাছ মরে গেছে। এখানে এসে দেখতে পেলাম মাছ মারার বিষক্ত ট্যাবলেট দেওয়ার কারণে ঘেরের সব মাছ মরে গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ মুসুল্লি বলেন, শানু খান আমাদের এই মসজিদের একজন মুসুল্লি তার ঘেরে বিষ প্রয়োগের খবর পেয়ে এসে দেখলাম সব মাছ মরে ভেসে উঠছে। কে বা কাহারা এত বড় ক্ষতি করলো এটার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবী জানাই।
ক্ষতিগ্রস্ত শানু খান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গভীর রাতে কে আমার এতো বড় ক্ষতি করলো তা আমি জানি না৷ সকালে এসে দেখি আমার ঘেরের সব মাছ ভেসে উঠছে। পানি বেশি থাকায় তাৎক্ষণিক মাছ ধরতেও পারছি না। আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার প্রতিপক্ষ শত্রুরা রাতের আঁধারে এমন ঘৃণিত কাজটি করেছেন। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।
লতাচাপলি ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি জানার জন্য ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাংগঠনিক, সিনিয়ার সহ-সভাপতিসহ ঘটনা স্থানে এসেছি। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। কে বা কাহারা করেছে এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভুক্তভোগী শানু খানকে মহিপুর থানায় বিষয়টি অবহিত করার কথা জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক। এবিষয় মহিপুর থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।