1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
মায়ের মরদেহ রেখে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ মেয়ে - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
দীর্ঘ ২২ বছর হলেও ভোলাবাসীকে আজও কাঁদায় নাসরিন-১ ট্রাজেডি বজ্রপাতরোধে গৌরনদীতে বিনামূল্যে তালচারা-কীটনাশক বিতরন অনুষ্ঠান বানারীপাড়ার ত্যাগী নেতা আব্দুস সালাম: এক জীবন্ত ইতিহাস মেহেন্দিগঞ্জে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক পার্টির উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠন! ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেই গণতন্ত্রে ফিরবে দেশ: মির্জা ফখরুল পঞ্চগড়ে সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪ অর্থ নয়, চিকিৎসা সহযোগিতা চান ফরিদা পারভীনের পরিবার বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা ও হরিণ শিকার চলছেই: দুই মাসে আটক ৭৬, জব্দ ৫৩ ট্রলার  বাগেরহাটে কলকলিয়া-মায়েরখালী সেতু: এক যুগ ধরে মৃত্যু ফাঁদে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ নড়াইলে স্ত্রীসহ ডাকাত সর্দার গ্রেফতার

মায়ের মরদেহ রেখে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ মেয়ে

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ১৯ 0 বার সংবাদি দেখেছে
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি // সখীপুরেমায়ের মরদেহ রেখে ২ মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুরে এই পৃথক ২টি হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সায়মা আক্তার হাতিয়া গ্রামের মো. রায়হান খানের মেয়ে এবং লাবনী আক্তার কচুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে। তারা দুজনই বৃহস্পতিবারের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তাদের মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে।

জান যায়, সায়মা আক্তার হাতিয়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী এবং সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে লাবনী আক্তার সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে।

এই ২ পরীক্ষার্থীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে, একই দিনে দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান লাবনীর মা শফিরন বেগম (৪৫)।

সায়মা ও লাবনী দুইজনই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। শোকের এমন সময়ে ভেঙে পড়লেও আত্মীয়স্বজন ও শিক্ষকদের সাহচর্যে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে আসেন তারা।

 

পরীক্ষার দিন সকাল ১০টার আগে অশ্রুসজল চোখে কেন্দ্রে পৌঁছান সায়মা ও লাবনী। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সহপাঠীদের সহানুভূতি ও সহযোগিতায় তারা পরীক্ষায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, লাবনীর মায়ের জানাজা সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সায়মার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বাদ যোহর।

হাতিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, ‘সায়মা খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক।’

এদিকে সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ’এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দেওয়া মানসিকভাবে অনেক কঠিন। তবুও ওরা যে সাহস দেখিয়েছে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ