মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি // পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের এক প্রভাষককে প্রাননাশের হুমকি ও চাকুরী হারানোর ভয় দেখানোর অভিযোগে মির্জাগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। একই কলেজের প্রভাষক (গনিত) মো. শামিম হোসেন গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) এ জিডি করেন।
জিডির অভিযোগ বলা হয়, গত সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল এগারোটায় কলেজের অধ্যক্ষে আমন্ত্রনে শিক্ষক পরিষদের সচিব ম্যাডামের উপস্থিতিতে কলেজের সকল শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন কলেজের প্রভাষক (গনিত) মো. শামিম হোসেন। মিটিংয়ে কলেজের জাতীয় করনের গঠিত কমিটি অন্যায় ভাবে কিছু শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুল তথ্য দিয়ে মন্ত্রানালয়ে পদ সৃজন করার কপি প্রেরণ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক মোসাঃ আয়শা আক্তার এর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্মান দ্বিতীয় শ্রেনী থাকা সত্ত্বেও তাকে (প্রভাষক মোসাঃ আয়শা আক্তার) তৃতীয় শ্রেনী উল্লেখ করে মন্ত্রাণালয়ে পদ সৃজন করার লক্ষে পত্র প্রেরণ করেন। বিষয়টি তুলে ধরে আমি (প্রভাষক মো. শামিম হোসেন) এর প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষ (স্যার) আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমনাত্মক ভাষায় গালিগালাচ করে আমাকে সভা কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং আমাকে প্রাননাশের হুমকি ও চাকুরী হারানোর ভয় দেখান। এ বিষয়ে গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) মির্জাগঞ্জ থানায় জিডি করেন প্রভাষক মো. শামিম হোসেন,জিডি নং-৪৩৫।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আছাদুজ্জামান বলেন, কোনো কোনো শিক্ষক সঠিক ভাবে ক্লাশ নিতে চায় না,আবার কেউ কলেজে না এসে স্বাক্ষর দিতে চায়। তাই তাদেরকে মাঝে মধ্যে রাগ দিতে হয়। এটা একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এর বেশি কিছুই না।
এ বিষয়ে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌসের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply