1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে ছবিসহ নাম উল্লেখ থাকলেও স্বীকৃতি পাইনি আব্দুস সাত্তার - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে ছবিসহ নাম উল্লেখ থাকলেও স্বীকৃতি পাইনি আব্দুস সাত্তার

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪
  • ৩৮ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কলাগাছিয়ার বাসিন্দা মৃত: মোঃ আব্দুস সাত্তার স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও এখনও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। জাহানারা বেগম জানান, আমার স্বামী মোঃ আব্দুস সাত্তার দিনাজপুর জেলা পুলিশ লাইনে যোগদান করেন।

 

 

কনস্টেবল নং-৬৬৪। তিনি ইং ১৭/৭/১৯৬৮-তাং হইতে ১৯/২/১৯৭৫ পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন। যাহা তাহার চাকুরীর খতিয়ান বহিতে লিপিবদ্ধ আছে। দিনাজপুর জেলায় তাহার ব্রাস নং-৬৬৪। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করিয়া গৈারবজ্জ্বল ভূমিকা পালন করিয়াছেন যাহা তাহার নিকট রক্ষিত হিলি সেক্টর কমান্ডার কর্তৃক পরিচয় পত্র নং-২১৯ ও টি,ছি,ছি নং ১৫/৭১ তারিখঃ ২৪/১২/৭১ ইং এবং মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা সংক্রান্ত বইয়ের ৪০৭ নং পাতায় লিপিবদ্ধ আছে। জয় বংলা পরিচয় পত্র নং-২১৯।

 

তিনি ’’জাতির জনকেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বত:র্স্ফুত ও হয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন’’। দিনাজপুর পুলিশ লাইনে বেশ কয়েকজন সদস্য অস্ত্র গোলাবারুদসহ কাঞ্চন নদীর তীরে দুর্গ স্থাপন। ২৭ শে মার্চ ইপিআর পুলিশ বাহিনীর সাথে দিনাজপুর সার্কিট হাউসে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর আক্রমন এবং সার্কিট হাউস দখল এবং ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দিনাজপুর মুক্ত। ’পুনরায় ৫ এপ্রিল পাকবাহিনীর আক্রমনে দিনাজপুর শহরের পতন হলে ২০ জন পুলিশ সদস্যসহ খানপুর সীমান্তে অবস্থান পরিবর্তন’ হিলি এলাকায় ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান। ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক মেজর সাফায়েত জামিল ও ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেন নেতৃত্বে ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জ ঘাট এবং সিলেটের বাঁশতলা ছাতক, তামাবিলসহ পাকসেনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ। স্মরণীয় যুদ্ধে-সিলেট সালুটিগড় বিমানবন্দর আক্রমণে পাকসেনাদের আত্মসমর্পনে বাধ্যকরণ; পুলিশ সহযোদ্ধা কনস্টেবল আব্দুর রশীদ, কনস্টেবল ইদ্রিস আলী, কনস্টেবল আব্দুল লতিফ, কনস্টেবল গোবিন্দ লাল; স্বাধীনতার পর পুনরায় কর্মস্থলে যোগদান করেন। তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন, প্রশিক্ষন, দায়িত্ব পালন, সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও নানা জটিলতার কারনে আবেদন করতে পারিনি। পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে ছবিসহ তার নাম উল্লেখ আছে।

 

 

তিনি আরো জানান, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সকল কাগজ পত্র পাঠানা হয়েছে ও বাছাই তালিকাতেও তার নাম লিপিবদ্ধ আছে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। এ সব বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ