এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট // বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক দিনমজুর পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে পাকা ইমারাত করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ইউনুছ হাওলাদার বাদি হয়ে সেনা ক্যাম্প ও থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। রবিবার স্থানীয় এলাকাবাসি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি।
সরেজমিনে ও প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জিউধরা বাজারের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউনুছ হাওলাদারের ৩ শতক পৈত্রিক জমি পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ঘটনারদিন শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সিমান্তবর্তী মোংলা উপজেলার বাজিকর খন্ড গ্রামের প্রভাবশালী পান্না ফরাজীর নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ওই দিনমজুরের ভাড়াটিয়া দুটি দোকান সরিয়ে ওই জমি দখলে নিয়ে সেখানে পাকা ইমারতের কাজ শুরু করে।
এ ঘটনার পরের দিন ভূক্তভোগী ইউনুছ হাওলাদার তার দখলকৃত জমি ফেরৎ পেতে মোরেলগঞ্জ থানা ও সেনাক্যাম্পে বাদি হয়ে পান্না ফরাজী, আউয়াল মোল্লা, নাসির হাওলাদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে রবিবার সকাল ১০টায় জিউধরা বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী রবিউল হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, জসিম তালুকদার, দুলাল মৃধা, কবির হাওলাদার, হারুন হাওলাদার ও জুয়েল হাওলাদারসহ একাধিকরা এ ঘটনার বিচার দাবি করে প্রতিবাদে ফেটে পরেন। তারা বলেন, ভাড়াটিয়া লোকজনর নিয়ে এসে রাতারাতি জমি দখল করে পাকা ইমারত করছে। এ প্রভাবশালীদের খুটির জোর কোথায়?। তারা এ ঘটনার তদন্তপূর্বক সঠিক বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। একই সাথে ভূক্তভোগী পরিবারের জমি ফেরত পেতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ইউনুছ হাওলাদার বলেন, ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে পৈত্রিক ৫৬ শতক জমির মধ্যে ৩ শতক জমিতে বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দুটি দোকান ভাড়া দিয়ে সংসার চালিয়ে আসছি। প্রভাবশালীদের লোলুপ দৃষ্টি। জোরপূর্বক আমার জমিটি দখলে নিয়েছে। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
এ সর্ম্পকে পান্না ফারাজী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তিনি কারও জমি দখল করেনি। ২০ বছর পূর্বে তার ফুফুর ক্রয় কৃত দেড়শতক জমিতে বসবাস করতেন। সেখান থেকে মোংলা উপজেলায় চলে যাওয়ায় ওই সময়ে জমিটি ইউনুছ হাওলাদার দখল করে নেয়। আমাদের জমিতেই আমরা পাকা ইমারত করছি।