নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশালে যাত্রী সংকটে ধস নেমেছে লঞ্চ ব্যবসায়। বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে পারাপারের জন্য লঞ্চের সংখ্যা ১০টি থেকে নেমেছে দুটিতে। এ অবস্থায় লঞ্চ মালিকদের কেউ কেউ যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি লঞ্চগুলোকে প্রমোদতরী হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা করছেন। বরিশাল নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের লঞ্চমুখী করতে চেষ্টা চলছে।
এক সময় যাত্রীদের চাপ সামাল দেওয়া কঠিন ছিল বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চগুলোতে। এ রুটে প্রতিদিন চলত ১০টি লঞ্চ। ১ হাজার কোটি টাকার এই পরিবহন খাতে এখন ধস নেমেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী সংকটে ধুকছে লঞ্চগুলো। লোকসানে টিকতে না পেরে এখন দিনে চলাচল করে মাত্র দুটি। কাজ হারিয়েছেন অনেক শ্রমিক।
শ্রমিকেরা বলছেন, আগে দৈনিক ঢাকা থেকে ছয় থেকে সাতটি লঞ্চ যাত্রী ভরে বরিশাল আসত। আর এখন এক সপ্তাহে একটি ট্রিপ পাওয়া যায়। ব্যবসায় টিকতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী কৌশল পাল্টানোর চিন্তা করছেন। যাত্রী পারাপারের পাশাপাশি প্রমোদতরী হিসেবে লঞ্চ ব্যবহারের কথা ভাবছেন তাঁরা।
সুরভী গ্রুপের পরিচালক রিয়াজ উল কবির বলেন, ‘নৌ যাত্রা হলো আমাদের শতবর্ষের ট্রেডিশনাল বিষয়। এটাকে টিকিয়ে রাখা উচিত। এটা এখন টিকিয়ে রাখতে শুধু ঢাকা-বরিশাল রুট নয় বরং বিভিন্ন রুটে ক্রুজ আকারে লঞ্চগুলো ব্যবহার করতে পারি।’ যাত্রীদের লঞ্চমুখী করার জন্য চেস্টা চলছে বলে জানিয়েছে বরিশাল নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যাত্রীরা সময়ের চেয়ে জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করলে লঞ্চে যাত্রী বাড়বে।
যাত্রী সংকটে বর্তমানে আমাদের রাজস্ব আয় ৬৬ শতাংশ কমে গেছে।’ গত ২০ বছরে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে ২৬টি বিলাসবহুল লঞ্চ নামানো হয়। যার বেশিভাগ এখন বসিয়ে রাখা হয়েছে।