1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
যৌতুক ছাড়া বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের সংবর্ধনা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন

যৌতুক ছাড়া বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে জামায়াতের সংবর্ধনা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ২৭ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // যৌতুক ছাড়া বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে সংবর্ধনা প্রদান দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া তাদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতে ইসলামী ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নবদম্পতিদের হাতে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় খাট, আলমারি, তোশক, কম্বল, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।

জামায়াতের উপহার পাওয়া মর্ণেয়া ইউনিয়নের মাসুদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, “যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া ইসলামি শরিয়াতে হারাম। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইনেও নিষেধ। আর যৌতুক দিতে যে একটা পরিবারের কত কষ্ট হয় তা বুঝি। এর জন্য আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যৌতুক ছাড়া বিয়ে করেছি।”

উপহারসামগ্রী পাওয়া কোলকোন্দ ইউনিয়নের ভাই ভাই মোড় এলাকার তৌহিদুল ইসলাম ও উম্মে কুলসুম ঐশি নবদম্পতি বলেন, “আমরা দেখেছি যৌতুক নিয়ে পরিবারের অনেক ঝামেলা হয়। তাই আমাদের দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে আমরা যৌতুক ছাড়া বিয়ে করেছি। আমাদের পরিবারের মাঝে কোনো প্রকার যৌতুক লেনদেন হয়নি।”

গজঘণ্টা ইউনিয়নের নবদম্পতি নাহিদ হাসান ও শিরিনা আক্তার সীমা সাথে কথা হলে নাহিদ হাসান বলেন, আমাদেরকে ঢাকায় প্লেনে নিয়ে যেয়ে একটি অভিজাত হোটেলে বিয়ে অনুষ্ঠানে করা হয়। আজ আমাদের আসবাপত্র দেওয়া হলো।

জামায়াতে ইসলামীকে ধন্যবাদ আমাদেরকে নিয়ে এ ধরনের আয়োজন করার জন্য। আর আমি আমার মুসলিম ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা বিয়ের সময় শ্বশুর পরিবারের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে কিছু নেবেন না। এতে আল্লাহ নারাজ হন।”

গঙ্গাচড়া মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা নায়েবে আমির তাজ উদ্দিন, সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ রোকনমুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজন প্রসঙ্গে নায়েবুজ্জামান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে বাস্তবিক সহায়তা প্রয়োজন। যারা আর্থিকভাবে বিয়ের আয়োজন করতে অক্ষম, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।

সমাজে যৌতুকবিরোধী সচেতনতা বাড়বে এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটবে। এই ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকায় একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণভাবে যৌতুকবিহীন বিয়ে দেওয়া হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ