নিহত ফারুক সরদার (২৬) দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মণ্ডল পাড়ার পল্লী চিকিৎসক শহিদ ডাক্তারের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ জানান, ফারুক সরদার ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। রাতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী এলাকাতে প্রতিপক্ষের কয়েকজনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুবৃর্ত্তরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত ফারুকের ভাই মনিরুজ্জামান জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা শুরুর দিন থেকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশনের পাশে মেলা বসেছে। ওই মেলায় জুয়ার আসর বসায় স্থানীয় রিপন ও তার সহযোগীরা। মেলার বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদাও তুলছিল তারা। তাদের জুয়ার আসর বসানোর ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করে আসছিল ফারুক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জন্য এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।