1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
রানা প্লাজার মালিকের জামিন আপিল বিভাগেও স্থগিত - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

রানা প্লাজার মালিকের জামিন আপিল বিভাগেও স্থগিত

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৬ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // এক দশকেরও বেশি সময় আগে সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বিভাগ সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে রানার জামিন প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।

এর আগে গত ১ অক্টোবর বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোহেল রানাকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দেন। সেই সঙ্গে সোহেল রানার নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন উচ্চ আদালত।

তবে পরদিন ২ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক সোহেল রানার জামিন স্থগিত করেন। সবশেষ সোমবার সোহেল রানার পক্ষে আদালতে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

গত ১৫ জানুয়ারি দেয়া এক আদেশে আপিল বিভাগ মামলাটির বিচারকাজ ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে নির্দেশনায় বেঁধে দেয়া সময়ে বিচারকাজ শেষ করতে না পারলে তিনি (সোহেল রানা) যদি জামিন আবেদন করেন, তবে সংশ্লিষ্ট আদালতকে সে আবেদন বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল। এ আদেশের পর প্রায় ৯ মাস হলেও এখন পর্যন্ত বিচারকাজ শেষ হয়নি।

প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় রানা প্লাজার নিচে চাপা পড়েন কয়েকটি পোশাক কারখানার ৫ হাজারের মতো শ্রমিক। এ ঘটনায় প্রায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন।

ওই সময় জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সাভারের রানা প্লাজা ভবনের তৃতীয় তলায় পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিজিএমইএ কর্মকর্তারা রানা প্লাজায় আসেন। তারা ওই ভবনের গার্মেন্ট মালিকদের পরামর্শ দেন-বুয়েটের ভবন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম যেন বন্ধ রাখা হয়।

তবে পাঁচ গার্মেন্ট মালিক এবং তাদের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পর দিন (২৪ এপ্রিল) শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দেন রানা প্লাজা ভবনের মালিক খালেক ও সোহেল রানা। পরে এ দিনই (২৪ এপ্রিল) ধসে পড়ে রানা প্লাজা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ