এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন, লালমনিরহাট থেকে // লালমনিরহাটে শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সাংবাদিক, এক পুলিশ সদস্য সহ শ্রমিকদের দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার দুপুরে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা জানায়, লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব নিয়ে দুটি গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে দীঘ্য দিন থেকে। শ্রমিকদের একটি গ্রুপ পুরনো রেজিস্ট্রেশন নাম্বার(২৪৯৩) বহাল রাখার দাবিসহ বহিরাগত শ্রমিক ও দ্বৈত শ্রমিক দ্বারা প্রচলিত শ্রম আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
যার নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি ওমর ফারুক বাবলু। অপর পক্ষ শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রাখে। যার নেতৃত্ব দেয় মাহফুজার ও বকুল ড্রাইভারগং।
এ ব্যাপরে শ্রমিক নেতা বাবলু জানায়, ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর থেকেই মাহফুজার, বকুলসহ বেশ কিছু শ্রমিক আওয়ামী দোসরদের সাথে নিয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে দ্বৈত শ্রমিক দ্বারা, বহিরাগত শ্রমিকদের নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়া চালায়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার সাধারণ নিবন্ধিত শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী একটি মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মানববন্ধনের জন্য পৌঁছালে বাস টার্মিনালে আগে থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী অবস্থান নিয়ে থাকা মাহফুজার, বজুল ড্রাইভার গংরা আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা ইটপাটকেল ছুরলে এতে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
তবে ইটপাটকেল ছুড়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন মাহফুজার ও বকুল গং। তাদের দাবি বাবলুর নেতৃত্ব দেওয়া মিছিল থেকেই বাস টার্মিনালে থাকা শ্রমিকদের উপর ঢিল ছোড়া হয়। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না জানান, শ্রমিকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ভিডিও ধারন করার সময় আমার ও এস আর শরিফুল ইসলাম রতনের উপর হামলা চালায় একটি পক্ষ।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্রমিকদের একটি গ্রুপ প্রতিবাদ মিছিল ও একটি পক্ষ সমাবেশ করছিলো। উভয় পক্ষই বাসটার্মিনাল এলাকায় মুখোমুখি হলে প্রথমে ইটপাটকেল ছুড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতেপুলিশসদস্য, সাংবাদিকসহ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।