1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
শিক্ষকদের বেতন ভাতা না থাকা, নিয়মিত পাঠদান না হওয়া, ভঙ্গুর অবকাঠামো - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
বরিশালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন দক্ষ প্রশাসনই শিক্ষার উন্নয়নের ভিত্তি: বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অতীতের কলঙ্ক মুছতে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই: ইসি আনোয়ারুল ঢাকার আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে ৪ হাজার টাকা দিয়েও মেলেনি প্রতিবন্ধী বরাদ্দের চাল! সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম বরিশালে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত সুন্দরবন ভ্রমণে নিখোঁজ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার ষড়যন্ত্র চলছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলিয়ে দিতে: মির্জা ফখরুল পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন: পুলিশ

শিক্ষকদের বেতন ভাতা না থাকা, নিয়মিত পাঠদান না হওয়া, ভঙ্গুর অবকাঠামো

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৭ 0 বার সংবাদি দেখেছে

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি // দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সিংজোর গোপালপুর মহা বিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় ১৮ পরিক্ষার্থীর কেউ পাশ করেরি। ফলাফল বিপর্যায়ে কারন অবিভাবকরা বলছেন বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষ ভঙ্গুর থাকায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান না হওয়া, নন এমপিওভূক্ত মহা বিদ্যালয়টি থাকার কারনে শিক্ষকদের বেতন ভাতা না থাকায় ফলাফল বিপর্যয়ের প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়িয়েছে।

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে প্রত্যান্ত গ্রামে চিংড়াখালী ইউনিয়নে গোপালপুর গ্রামে সিংজোড় গোপালপুর মহা বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে স্থাপিত হলেও দীর্ঘ ১ যুগ ধরে হয়নি এমপিও ভূক্ত। এ বিদ্যালয়ে ১ একর জমির উপরে প্রতিষ্ঠাতা হাই স্কুলের একজন অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল রহমান হাওলাদার প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে নিজেদের অর্থায়নে একটি টিন সেটের ঘরে ৮টি কক্ষে চলে এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। অধ্যাক্ষ কানিজ ফাতেমা সহ ৮ জন প্রভাষক কর্মরত রয়েছেন। কর্মচারী রয়েছে বিভিন্ন পদে ৭ জন। অধিকাংশ শিক্ষকের বাড়ি পাশ্ববর্তী চিতলমারী উপজেলায়। টানা ১২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠাতা কোন মতে এ শিক্ষকদের কিছুটা সম্মানী দিলেও তাতে সংসার চলে না তাদের যে কারনে পর্যায়ক্রমে ২ জন শিক্ষক চাকুরী ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এ কলেজটি প্রতিষ্ঠাতার পর থেকে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০জন এর মধ্য এইচ, এস,সি প্রথম বর্ষের ৪১ জন ২য় বর্ষে ৪৩ জন বাকী শিক্ষার্তীরা কেজুয়াল। শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হলেও বিগত ২ বছর পূর্বে ঘূর্নিঝর রেমালে কলেজের শ্রেনী কক্ষ ঘরটি সম্পূর্ন বিধস্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আধা সেমিপাকা টিন সেটের ২ কক্ষের একটি ঘর নির্মান করে সেখানে চলে অফিস কার্যক্রম ও একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পরবর্তীতে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীরাও কলেজে অনিয়মিত হয়ে পরে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারনে ২০২৫ সালে সিংজোড় গোপালপুর মহা বিদ্যালয় থেকে ১৮ জন পরীক্ষার্থী এইচ,এস,সি পরীক্ষায়া অংশগ্রহন করলেও একজন শিক্ষার্থীও পাশ করেনি। এ বছর ফলাফল বিপর্যয়।

সিংজোড় গোপালপুর মহা বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল রহমান হাওলাদার বলেন, এ কলেজটি থেকে ২০২১ সালে ৩৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ জন পাশ করেন। ২০২২ সালে ১৪ জন পরীক্ষার্তীর মধ্যে ১৪ জন পাশ করেন। ২০২৩ সালে ১৬ জনের মধ্যে ৪ জন পাশ করে। ২০২৪ সালে ২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪জন পাশ করেছে এ বছরই সম্পূর্ন ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। টেনেটুনে কোনমতে কলেজটি পরিচালনা করে অসছি। ৯ জন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে এমপিও ভূক্ত না হওয়ার কারনে ইতিমধ্য ২ জন চলে গেছেন। বাকী শিক্ষকরাও স্থানে থেকে নিয়মিত ক্লাস নিতে পারছে না। বেতন ভাতা না থাকায় তাদের সংসার কিভাবে চালাবে। কলেজের অবকাঠামোর অবস্থা খুবই নাজুক। ২ টি কক্ষে কোন মতে মাঝে মধ্যে পাঠদান হয় তা আবার ১টি কক্ষে অফিস ও ক্লাস এর কাজ চলে। স্থানীয় শিক্ষার্থী অবিভাবক তাপস কুমার মিস্ত্রী, মলিনা মিস্ত্রী, কবিতা মিস্ত্রী ও পাশ্ববর্তী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ শেখ শামিম আহসান সহ একাধিকরা বলেন এ বছর এ কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের কারন শিক্ষকদের বেতন ভাতা না থাকা ক্লাসে পাঠদানে উপযোগী শিক্ষা পরিবেশ অনুকূলে না হওয়া এ প্রতিবন্ধকতাই ফলাফল বিপর্যয়ের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। তারা শিক্ষা অধিদপ্তরে উদ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কলেজটি এমপিও ভূক্ত আওতায় সহ অবকাঠামো উন্নয়নের দাবী জানান।

এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে এ বছরে এ উপজেলায় ৯টি কলেজে ১২১৪ জন শিক্ষার্থী এইচ,এস,সি পরীক্ষায় অংশ নিলেও ৪৩৩ জন পাস করেছেন এর মধ্য জিপিএ ৫ ২৪ জন শিক্ষার্থী গড় পাসের হার ৩৬% । ১৫ টি মাদ্রাসায় আলেম পরীক্ষার্থী ৩৫৬ জনের মধ্যে ১৫৬ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৪% জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন।

এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সিংজোড় গোপালপুর মহা বিদ্যালয়টি নন এমপিও ভূক্ত। ফলাফল সম্পূর্ন বিপর্যয়ের নিয়মিত পাঠদান না হওয়া শিক্ষকদের বেতন ভাতা না থাকা কলেজের অবকাঠামো নাজুক থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘিœত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবে অবিভাবকদের আরও সচেতনাতার পাশাপাশি কলেজটি সকলের সহযোগিতায় লেখাপড়ার পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ