1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
শিশুর ইন্টারনেট আসক্তি কমানোর সুযোগ এখনই - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

শিশুর ইন্টারনেট আসক্তি কমানোর সুযোগ এখনই

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২১ 0 বার সংবাদি দেখেছে
লাইফস্টাইল ডেস্ক // বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেট অ্যাডিকশন মহামারির রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও এই সমস্যা এখন প্রকট। আমাদের দেশে আগে ইন্টারনেট আসক্তি ছিল শুধু শহরকেন্দ্রিক। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়েরাও ইন্টারনেটের দিকে অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়ছে।

হাতে হাতে স্মার্টফোন। প্রায় সব বাড়িতেই শিশুরা বুঁদ ডিজিটাল পর্দায়। শিশুর অবসর মানেই যেন মুঠোফোন ধরিয়ে দেওয়া। অনেক শিশুর খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে ওঠে রিলস বা ভিডিও দেখতে দেখতে। তাই কোনো বেলার খাবার গ্যাজেট ছাড়া দিলেই শিশু তা মুখে তোলে না। এমনকি শিশুকে শান্ত রাখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুঠোফোনে ইন্টারনেট সচল করে বসিয়ে দেন অভিভাবকেরা।

তবে সম্প্রতি দেশে হঠাৎ ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে যেসব মা-বাবা সন্তানকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো বা অবসর কাটাতে গ্যাজেট ও ইন্টারনেটকেই একমাত্র উপায় মনে করতেন, তারাও বিকল্প খুঁজছেন।

এ বিষয়ে শিশুবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বিকল্প পথটাই শিশুর জন্য জরুরি। মানে শিশুর গ্যাজেট বা ইন্টারনেটে আসক্তি কমাতে তাকে স্বাভাবিক বাস্তব জীবনে অভ্যস্ত করাতে হবে।

যে কারণে শিশুর গ্যাজেটে আসক্তি কমাবেন

গ্যাজেট ও ইন্টারনেটে আসক্তির ভয়াবহ প্রভাব পড়ে শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায়। অনেক সময় মা-বাবা হয়তো নিজেদের সাময়িক সুবিধার জন্য শিশুর হাতে মুঠোফোন দিচ্ছেন, কিন্তু এতে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়ে শিশু।

চলুন জেনে নিই শিশুর গ্যাজেট ও ইন্টারনেট আসক্তির কারণে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়—

১. সাধারণত প্রথম তিন বছর শিশুর মস্তিষ্কের বড় অংশের গঠন হয়। তাই এ সময় শিশু কী শিখছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

২. শিশুকে খাওয়ানোর সময় মুঠোফোন ধরিয়ে দিলে কোনটা কী খাবার, কোনটার স্বাদ কেমন, এসব শেখার সুযোগ পায় না।

৩. কম দূরত্ব থেকে মুঠোফোন দেখার কারণে ডিজিটাল পর্দার বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি শিশুর চোখের ক্ষতি করে।

৪. শিশু সামাজিকতা শেখে না। কার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, এসব শেখায় ঘাটতি থাকে।

৫. শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অল্পতেই রেগে যায়। নিজের রাগ প্রকাশ করতে গিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর, চিৎকার ইত্যাদি বাড়িয়ে দেয়।

৬. একটানা মুঠোফোনে ভিডিও দেখার কারণে শিশুর রাগ বেড়ে যায়। মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।

এ কারণে সময় কাটানোর জন্য শিশুকে গ্যাজেট না দিয়ে বরং নানা ধরনের পাজল কিনে দিতে পারেন। বুদ্ধি খাটিয়ে সেসব মেলাতে মেলাতে শিশুর সময় কেটে যাবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ