এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার এনায়েতপুর থানার ভাঙ্গাবাড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাইদুল ইসলাম বারুপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সাইদুল ইসলাম প্রায় ১২ বছর আগে ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের রায়হান আলীর মেয়ে ফতেমা খাতুনকে বিয়ে করেন। ছয় বছর তারা সংসার করার পর দুই সন্তান রেখে মালয়েশিয়া চলে যান সাইদুল।
এরপর থেকে ফতেমা বাবার বাড়িতে থাকতেন। এ অবস্থায় ফাতেমা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। গত কোরবানির ঈদের আগে সাইদুল দেশে ফেরার পর তারা নতুন করে আবার সংসার শুরু করে।
শ্বশুরবাড়িতেই থাকে সাইদুল। তবে পারিবারিক কলহ অব্যাহত থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির বাইরে আম গাছের ডালে সাইদুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের চাচি চম্পা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ফতেমা খাতুন বাড়ির লোকজন মিলে সাইদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
Leave a Reply