1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
সন্তান স্নেহে বড় করা লাল মানিকের দাম ৭ লাখ - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :
যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রামীণ ইটের রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ! বরিশালে প্যান-এশিয়ান খাবার নিয়ে Too Yum রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু! ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শুরু, শর্ত ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি নড়াইলে তিল খেত থেকে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জন্ম, বিকাশ ও বিপন্নতা: ইতিহাস ও বাস্তবতার সন্ধিক্ষণে” বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ ডাকাত বাহিনীর সহযোগী আটক গুম করে গাড়ি-ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা করা হতো একই সময়ে দুই শহরে গুলিবিদ্ধ হন বাদী! ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করে জামিন পেলেন গায়ক নোবেল চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টেনে মারধর

সন্তান স্নেহে বড় করা লাল মানিকের দাম ৭ লাখ

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫
  • ৩৮ 0 বার সংবাদি দেখেছে

ফরিদপুরের যুবক মো. আবুল খায়ের। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গরু লালনপালন করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ঘাস আর খড় জাতীয় সাধারণ খাবারে বড় করা তার গরুটির ওজন এখন প্রায় ১৮ মণ। গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে লাল মানিক। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে অনেকে ভিড় করছেন গরুটি দেখতে। এবারের কোরবানির ঈদের বাজারে ৭ লাখ টাকা দামে এটি বিক্রির আশা মালিকের।

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের হঠাৎ বাজারের পাশে চৌধুরীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের প্রবাস ফেরত যুবক। কয়েক বছর আগে দুবাই থেকে দেশে ফিরে নিজ গ্রামের বাজারে একটি সার ও কীটনাশকের দোকান দেন।

আবুল খায়ের বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি ছোটখাটো গরুর খামার। চার বছর আগে তার খামারে ‘হীরা’ নামে একটি শাহীওয়াল জাতের গাভীর গর্ভে ব্রাহমা জাতীয় বীজ দিয়ে বকনা বাছুরের জন্ম হয়। আদর করে নাম রাখেন ‘লাল মানিক’। মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে বাছুরটি নিজের সন্তানের মতো করে আদর যত্নে বড় করে তোলেন তিনি। চার বছরে তার গরুটি ৮ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া আর বুকের প্রশস্ততা ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি হয়েছে।

গরুর মালিক আবুল খায়েরের মা রহিমা বেগম বলেন, ‘হীরার পেটে হইছিল বলে ওর নাম রাখছিলাম মানিক, লাল মানিক। গরুটা আমাদের অনেক আদরের।’

 

আবুল খায়েরের ভাই রাজিব হোসেন বলেন, আমাদের মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশীয় কায়দায় কাঁচা ঘাস আর খড়কুটো খাইয়ে এটি বড় করেছি। এলাকার লোকজন ছাড়াও বাইরে থেকে লোকজন আসে গরুটি দেখতে। সবাই গরুটি দেখে খুব খুশি হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কাবীর বিন জাব্বার বলেন, গরুটি এই গ্রামের সেরা গরু। অনেক গরু দেখছি নানাভাবে ওষুধ আর কৃত্রিম খাবার দিয়ে মোটা করতে। এটি দেশি গরুর মতো, মাংসপেশি খুবই শক্তপোক্ত।

গরুর মালিক আবুল খায়ের বলেন, নিজের ছেলের মতো আদরযত্ন দিয়ে ওকে বড় করে তুলেছি। সকাল বেলা দোকানে আসার আগে ওকে খাবার খাইয়ে আসি। আবার দুপুরে গিয়ে ওর যত্ন করি। নিজ হাতে গোসল করিয়ে দিই। ওর খাবারের জন্য নিজের ক্ষেতে ঘাস চাষ করেছি। লাল মানিককে বড় করেছি একেবারেই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে। ওকে খাবার হিসেবে ক্ষেতের ঘাস আর খড় খাইয়েছি। কোনো কোম্পানির ফিড দিইনি। দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগে। গরুটির দাম চেয়েছি ৭ লাখ টাকা। ভালো ক্রেতা হলে হয়ত সামান্য কিছু কমেও বেচতে পারি।

স্থানীয় গরুর ব্যাপারী মো. হাসান বলেন, গরুটি দেখে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। গরুটিতে প্রায় ১৮ মণের বেশি মাংস হবে বলে আমার ধারণা। প্রাথমিকভাবে দামও বলেছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ