কিছুদিন আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল এই কোচকে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত জাতীয় দলের সঙ্গে থাকবেন তিনি।
আবারও সহকারী কোচ হয়ে ফিরে আসার কারণ হিসেবে সালাউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু অনেক দিন ধরেই শুনছি, বিসিবি দেশি কোচদের একটি প্ল্যাটফর্ম করে দেবে, সেই পথ যদি আমি করে দিতে পারি… সেটা যতদিনের জন্যই হোক; দেশি কোচরাও হয়তো ভালো করবে। কাজেই পরের (দেশি) কোচ যারা আসবে, তাদের প্রতি বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগনের বিশ্বাস বাড়বে এবং সেই সাথে কোচদেরও নিজেরও বিশ্বাস বাড়বে যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা ভালো করতে পারি।’
সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘(নিজের সামর্থ্যের ওপর) এই বিশ্বাসটা কারও না কারও নেওয়া উচিত ছিল। আমি যদি কাজটা ঠিকভাবে করতে পারি, পরের কোচদের জন্য বড় একটা পথ খেলা হয়ে যাবে। আমার যে সমাজ, যে কোচ, সেই কোচদের পথ দেখানোর বড় একটা দায়িত্ব কিন্তু আমার পড়ে গেছে এবং সেটাকেই আমি একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবির দায়িত্ব ছাড়তে হয় নাজমুল হাসান পাপনকে। সেই দায়িত্বে বসেন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। পদে আসীন হওয়ার পর দেশি কোচদের জাতীয় দলে ফেরানোর কথা বলেছিলেন তিনি।
সার্বিক বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আসলে কথা হচ্ছিল। আমার এই কাজটা করার পেছনে ফারুক ভাইয়ের অবদান অনেক বেশি। তিনি আমাকে অনেকবার ডেকেছেন, কথা বলেছেন, বুঝিয়েছেন যেন, কেন আমাদের স্থানীয় কোচদের দরকার বাংলাদেশ দলে। আমারও যে ইচ্ছে ছিল না, তা নয়। তবে অনেক কারণেই আসতে পারছিলাম না। আমার মনে হয়েছে, এখনই হয়তো সেরা সময়, যেটা দিয়ে বাংলাদেশকে আবারও হয়তো সার্ভিস দিতে পারব।