নিজস্ব প্রতিবেদক // দেশের কৃষিখাতের চাহিদা পূরণে সৌদি আরব ও কাতার থেকে পৃথক দুটি প্রস্তাবের বিপরীতে ৬০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে মোট ২৩৬ কোটি ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমন শেষ হওয়ার পর বোরোতে সবচেয়ে বেশি সারের প্রয়োজন হবে। তাই বৈঠকে সার আমদানির এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, সার ও খাদ্যদ্রব্যের কোনো ঘাটতি হবে না। যেখান থেকে পারি আমরা সংস্থান করছি। মজুতও ভালো রয়েছে। আমাদের সার আসতেই থাকবে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১৮ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩২৭ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের ১১ জুন অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৫ লাখ ৪০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আলোকেই প্রথম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১৮ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩২৭ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাতার থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৫ লাখ ১০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি সই হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় এখন ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বুধবারের বৈঠকে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া একটি ও নওগাঁ একটি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। তবে বাফার গুদাম নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।